নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর এই লাগামছাড়া সংক্রমণ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই একাধিকবার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকের সাথে বৈঠক সেরে ফেললেন। প্রথম দফায় তিনি টেস্টিং, ট্রেসিং এবং ট্রিটমেন্ট সহ ৫ স্ট্রাটেজি গ্রহণ করার কথা বলেছিলেন। আর পরবর্তী বৈঠকে আরও ৪ নয়া স্ট্র্যাটিজি গ্রহণ করার কথা বললেন।
রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাথে বারংবার এই বৈঠক এবং ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের পরিস্থিতি ফের একবার দেশে লকডাউনের সংকেত বহন করার পাশাপাশি নাগরিকদের মধ্যেও তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। আর এমত অবস্থায় গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এই সংক্রান্ত সমস্ত জল্পনার অবসান হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৪ স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করার কথা বলেছেন তার মধ্যে প্রথম স্ট্রাটেজি হল, একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৩০ জন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা। আর তা করা সম্ভব হলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেন ব্রেক করা সম্ভব হবে।
দ্বিতীয় স্ট্র্যাটেজি হিসাবে তিনি বলেছেন, গাছাড়া মনোভাবের কারণে দ্বিতীয় ঢেউ আরও পরিস্থিতিকে সংকটে ফেলেছে। বহু ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপেও এমন গয়ংগচ্ছ বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই মনোভাব নিয়ে চললে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকানো সম্ভব হবে না। যে কারণে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় স্ট্রাটেজিতে উঠে আসে লকডাউনের প্রসঙ্গ। সে ক্ষেত্রে তিনি মনে করছেন এখনই সম্পূর্ণ লকডাউনের প্রয়োজন নেই। তিনি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করার উপর জোর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি সেই সকল জায়গায় অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও রাত্রি ৯টা অথবা ১০টা থেকে কার্ফু জারি করা যেতে পারে এমনটাও বলেছেন। তবে তার নাম নাইট কার্ফু না করে করোনা কার্ফু করার পরামর্শ দিয়েছেন।
[aaroporuntag]
চতুর্থ স্ট্র্যাটেজি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন গোটা দেশে টিকাকরণ উৎসব পালন করা হবে। ৪৫ বছরের বেশি বয়স্কদের সকলকে টিকা দেওয়ার জন্য আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই টিকা উৎসব পালন করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।