নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিভার ক্ষেত্রে বয়সটা বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাটা যে কোনো বাধাই নয় তাই প্রমাণ করলো খুদে আরোহী। আবার আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে মাই যে সর্বপ্রথম শিক্ষক তা আরোহীর কথা শুনলেই বোঝা যায়।
ব্যারাকপুরের আরোহী ঘোষ যৌথ পরিবারের মধ্যে বেড়ে ওঠা একরত্তি খুদে। বাবা মার বড় আদরের মেয়ে আরোহী ব্যারাকপুরের ব্লুমিং বাডস প্রাইমারি স্কুলের আপার বেবি ক্লাসে পড়ছে।
তার বন্ধু থেকে শিক্ষিকা সবই তার মা। মায়ের মধ্যে থাকা সুশিক্ষা ও সংস্কৃতিই তার মধ্যে প্রবাহিত হয়েছে। মায়ের মুখে গান শুনেই গুন গুন করে গাইতে শেখে আরোহী। আবার মায়ের নাচের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তার মধ্যেও নাচের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়।
এত ছোট বয়স থেকেই তাকে নাচ শেখানোর জন্য কোনরকম শিক্ষক-শিক্ষিকা নিযুক্ত করা হয় নি। লকডাউনে ছুটির পরিবেশে নিতান্ত সময় কাটানোর জন্যই তার মা চার-পাঁচ মাস আগে থেকে তাকে একটু একটু করে নাচ শেখাতে শুরু করেন। তারপর একদিন মেয়েকে লাল কালো শাড়ি পরিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে মেয়েকে নাচতে বলেন। ‘জিগিজা গিজাং’ ফোক গানটিতে নেচে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি প্রায় সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি শেয়ার হয়েছে।
4 years aarohi viral on social media Folk dance pic.twitter.com/bBU7yg93Dn
— BanglaXp Official (@BanglaXpBengali) September 5, 2020
মেয়ের চোখের ভঙ্গিমা থেকে কোমর দোলানো সবটুকুই অবাক করে দেওয়ার মত। সুন্দর এই মুহূর্ত থেকে ভাগ করে নেবার জন্যই আরোহীর মা সেই নাচের ভিডিও রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। কিন্তু সেই নাচের ভিডিওটি যে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যাবে আর ছোট্ট মেয়ে পেয়ে যাবে এত এত প্রশংসার বাণী! তা হয়তো ভাবতে পারেননি আরোহীর মা নিজেও।