করোনা ঠেকাতে প্রকাশ্যে থুতু ফেলায় নিষেধাজ্ঞা, আইন অমান্য করে গ্রেপ্তার ৪৯

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে জর্জরিত গোটা দেশ। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সংক্রমণের সংখ্যা। অন্যদিকে এই সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে জারি হয়েছে লকডাউন। লকডাউনের মেয়াদের সময়সীমা শেষের দিকে। এমত অবস্থায় শুক্রবার শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৩৫০৪৩, মৃত ১১৪৭। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৮৮৯ জন।

সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারি হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারী হয় দেশে। সকল বিধি-নিষেধের মধ্যে অন্যতম একটি হলো প্রকাশ্যে থুতু ফেলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা। লালারসের মাধ্যমেই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে, যে কারণে এই নিষেধাজ্ঞা। আর এই নিষেধাজ্ঞার পর নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা সেই সকল মানুষদের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে বলেন যারা এখনো প্রকাশ্যে থুতু ফেলছেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানান লকডাউন না মানলে কড়া আইন প্রয়োগ করা হবে। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এই সকল নিষেধাজ্ঞা বারবার মাইকিং করে প্রচার করা হয়। তবে এত সচেতনতা শর্তেও দেখা গিয়েছে বহু মানুষ এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে থুতু ফেলছেন। যে কারণে মানুষকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুলিশ। যার পরে গতকাল কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্য। যা এই যাবৎ সর্বাধিক।

সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা ইত্যাদি রাজ্যে গুটখা, পান মশলা ইত্যাদি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও গত বছর ৭ই নভেম্বর থেকে এই সকল দ্রব্য রাজ্যে বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু তারপরেও এই সকল দ্রব্য বিক্রি হওয়া বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। এমনকি লকডাউনের মাঝেও লুকিয়ে লুকিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই সকল পণ্য বলে অভিযোগ।

কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, প্রকাশ্যে থুতু ফেলা বন্ধ না হলে আগামী দিনে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্যদিকে গতকাল মাস্ক না পড়ে রাস্তায় বের হওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় মোট ১৬৭ জনকে। লকডাউন না মানায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০৯ জনকে। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩২ টি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।