ভুলে যান দিঘা, মন্দারমনি! মাত্র ৫ হাজারের বাজেটে বর্ষায় ঘুরে আসুন এই ৫ জায়গা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা! সারা বছর ধরেই পর্যটকদের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার হিড়িক লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে বাঙালিরা একটু বেশি ঘুরতে পছন্দ করেন। যে কারণে বর্ষার মরশুমেও তারা চার দেওয়ালে আটকে না থেকে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন। আবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষরা বর্ষায় ঘুরতে যাওয়া মানেই দীঘা (Digha), মন্দারমনি (Mandarmani) এই সকল জায়গাতেই বেছে নেন। কিন্তু এই সকল জায়গা বারবার গিয়ে একঘেয়েমি জায়গায় পরিণত হয়েছে। এবার এই একঘেয়েমি থেকে দূর করতে মাত্র ৫ হাজার টাকার বাজেটে ৫ জায়গার খোঁজ দেওয়া হল।

Advertisements

১) দীঘা, মন্দারমনির ভিড় এখন যাদের কাছে অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা নিমেষেই ছুটে যেতে পারেন শংকরপুর (Sankarpur)। দীঘা থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে শংকরপুর বিচ। এখানে কোলাহল ছাড়া রয়েছে সমুদ্র সৈকত, মৎস্য বন্দর, ছোট-বড় মাপের ট্রলার-নৌকা, ঝাউ গাছের সারি, কেয়া গাছের ঝোঁপ সহ আকর্ষণীয় বিভিন্ন মন ভোলানো জিনিস।

Advertisements

২) বর্ষাকালে ঘোরার আদর্শ জায়গা হল পুরুলিয়ার বড়ন্তি (Purulia Baranti)। কলকাতা থেকে সোজা গাড়ি নিয়ে পৌঁছানো যেতে পারে অথবা আসানসোল রেলস্টেশনে নেমে গাড়ি অথবা বাসে চড়েও যাওয়া যেতে পারে। আবার মুরডি স্টেশন থেকেও এই জায়গা অনেক কাছে। এখানে লেকের ধারে অনেক হোটেল পাওয়া যায়। এখানে রয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দির। এছাড়াও ঘুরে দেখা যাবে বিহারিনাথ পাহাড়, গড়পঞ্চকোট, পাঞ্চেত ড্যাম।

Advertisements

৩) বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার আরও একটি ভালো জায়গা হলো সুন্দরবন (Sundorbon)। বর্ষার মরশুমে সব জায়গা এখন সবুজে ঘেরা। এই সময় এখানে অনেক জায়গায় ইলিশ উৎসবের (Ilish Utsav) আয়োজন করা হয়। এর এছাড়াও লঞ্চ সহ বিভিন্ন জলযানে সারা রাত কাটানোর সুযোগ রয়েছে। সুন্দরবন বেড়াতে যেতে হলে কোন ট্রিপ বুক করে যাওয়া ভালো।

৪) বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার আরও একটি ভালো জায়গা হল ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। এখানকার বেলপাহাড়িতে (Belpahari) বর্ষার সময় বহু প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজনদের আগমন ঘটতে দেখা যায়। এর পাশাপাশি বর্ষার সময় আলাদাভাবেই সৌন্দর্য বিকাশ করে থাকে সুবর্ণরেখা নদী এবং কাঁকড়াঝোড়। এই মরশুমে ঘুরে দেখা যেতে পারে কুরুম্বেরা দুর্গ, চিল্কিগড় প্রাসাদ, বরাসুলি বাঁধ।

৫) কম বাজেটে ঘুরে আসা যেতে পারে মালদার গৌড়, পান্ডুয়া থেকে। এক সময় বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতিষ্ঠান ছিল গৌড়। ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত বহনকারী এই ধরনের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে মালদায়। এছাড়াও অল্প বাজেটের মধ্যেই ঘুরে দেখা যেতে পারে মালদার সোনা মসজিদ, কদম রসুল মসজিদ, দাখিল দরওয়াজা, আদিনা মসজিদ, গুমতি দরওয়াজা, ফিরোজ মিনার, জগজীবনপুর বৌদ্ধ বিহার, চাঁচল রাজবাড়ি, নিমাই সরাই স্তম্ভ।

Advertisements