নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে এক দেশ এক নির্বাচন (One Nation One Election) প্রথা চালু করার জন্য কেন্দ্র সরকার যে কমিটি গঠন করেছিল সেই কমিটির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এমন অনুমোদন দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এই ব্যবস্থা খুব তাড়াতাড়ি চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কেননা এই প্রথা মোদি সরকারের তৃতীয় টার্মেই চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এক দেশ এক নির্বাচন প্রথা চালু হলে একগুচ্ছ সুবিধা পাবেন দেশের রাজনৈতিক দল, নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরা। খরচ বাঁচিয়ে সুবিধা পাবে সরকার। তবে এই প্রথায় অর্থাৎ এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থায়ই কেবলই সুবিধা রয়েছে এমন নয়। এর সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধাও (One Nation One Election Problems)। কি কি অসুবিধা রয়েছে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
১) এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হলে প্রথমে কেন্দ্র সরকারকে সংবিধানের ৮৩ এবং ১৭২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে। কেননা এই সকল অনুচ্ছেদে সংসদ ও রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ কত দিনের জন্য হবে তার উল্লেখ রয়েছে।
২) লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই বিধানসভা নির্বাচন হয় দেশের মাত্র তিনটি রাজ্যে। এই তিনটি রাজ্য হল ওড়িশা, সিকিম এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনও রয়েছে এই বছর। পাশাপাশি এই বছর নির্বাচন হলো জম্মু-কাশ্মীরে। এই কয়েকটি রাজ্যকেও লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে জুড়ে দিতে কোন অসুবিধা হবে না। কিন্তু দেশের অন্যান্য যে সকল রাজ্যগুলি রয়েছে, যাদের নির্বাচন লোকসভা ভোটের অনেক আগেই বা পরে হয় তাদের কিভাবে জুড়বে তা নিয়ে একটি সমস্যা তৈরি হবেই।
আরও পড়ুন : One Nation One Election: এক দেশ এক নির্বাচন হলে মিলবে কি কি সুবিধা
৩) যদি কোন রাজ্যের সরকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পড়ে যায় সেক্ষেত্রে ওই রাজ্যে আবার নির্বাচন করাতে হবে। এমনটা হলে এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ হবে না।
৪) এক দেশ এক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভিএম লাগবে দ্বিগুণের বেশি। এক্ষেত্রে কেবলমাত্র ইভিএম-এর পিছনে প্রতি ১৫ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা করে খরচ করতে হবে। যে খরচ কিন্তু বর্তমান খরচের থেকে অনেকটাই বেশি।
৫) একসঙ্গে ভোট হলে ভোট কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের উপর অতিরিক্ত চাপ বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।