কি কারণে ইউক্রেনে সেনা-অভিযান রাশিয়ার, রইলো ৫টি কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : সমস্ত রকম আশঙ্কাকে সত্যি করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই দেশের এই লড়াইয়ে শতাধিক সৈন্যের প্রাণহানির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রাণহানির খবর এসে পৌঁছেছে। আর এই দুই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। তবে কি কারণে এই দুই দেশের মধ্যে এমন দ্বন্দ্ব?

১) বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউক্রেনের সরকারি পুলিশ ও সৈন্যের সঙ্গে লড়াই চলছে রাশিয়া মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের। এই দুই পক্ষের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হয় ২০১৪ সালে। কারণ হলো সেই সময় ইউক্রেনের নাগরিকরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রুশপন্থী এক নেতাকে সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এই বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি রাশিয়া এবং তারা ক্রিমিয়া দখল করে।

২) এই ঘটনার পর রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়া রণং দেহি মূর্তি বদলানোর পরিবর্তে নতুন করে মদত জোগানো শুরু করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উদ্দেশ্য হলো পূর্ব ইউক্রেন দখল করে আলাদা রাষ্ট্র তৈরি করা। কিন্তু এই পরিস্থিতি দেখে ইউক্রেন সরকার অসন্তুষ্ট হয়ে ন্যাটোর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। তারপরই এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নেয়।

৩) ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার ক্ষোভ আরও বাড়তে শুরু করে। গত কয়েক বছরে ইউক্রেন সেনা এবং রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

৪) এছাড়াও পূর্ব ইউক্রেন দখল করার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বড় কৌশল রয়েছে। রাশিয়া এমনিতেই বিরাট দেশ এবং এই দেশের ভৌগলিক অবস্থান শত্রু পক্ষের কাছে কঠিন। পাশাপাশি রাশিয়ার রণকৌশল এমন যে যদি শত্রুপক্ষ তাদের দেশে ঢুকে পড়ে তাহলে তারা শষ্যে আগুন লাগিয়ে পিছু হঁটে যায়। প্রতিরক্ষার কৌশলগত কারণেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন দখল করে পূর্ব ইউরোপ এবং নিজেদের মধ্যে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চাইছে।

৫) দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরই মধ্যে গত সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহান্সককে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয়। এরপরই পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে শুরু করে এবং বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধ লেগে যায়।