নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এখনো পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। আর এই সকল প্রাণহানি হওয়া প্রতিটি ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ। আগেই মৃত্যু হয়েছে তারা ছাড়াও যদি আগামী দিনে কারণ মৃত্যু হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রেও তার পরিবার এই ক্ষতিপূরণ পাবে। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে করোনা সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র।
তবে এই ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে স্বজনহারা ব্যক্তিদের পরিবার বর্গকে এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই টাকা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্বজনহারানো পরিবারবর্গের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনা প্রবেশ করার পর থেকে প্রাণহানি হয়েছে ৪.৪৫ লক্ষ মানুষের মানুষের।
কেন্দ্রের বক্তব্য অনুযায়ী, করোনার কারণে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে সেই ক্ষতিপূরণের টাকা পুরোটাই দিতে হবে রাজ্য সরকারের নিজের তহবিল থেকে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফ থেকে যে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছে, পরবর্তী কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এই সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
করোনায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে সাহায্য করার জন্য সুপ্রিমকোর্টের থেকে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় একটি গাইডলাইন তৈরি করার বিষয়ে। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে হলফনামা তলব করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র এই হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছে এই ক্ষতিপূরণের কথা। ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তিরা ত্রাণকার্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের ক্ষতিপূরণ মিলবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ডেথ সার্টিফিকেট অবশ্যই করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে এমনটা উল্লেখ থাকতে হবে।
এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি আবেদনপত্র প্রকাশ করা হবে। সেই আবেদন পত্র পূরণ করার সময় যেসকল নথি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হবে সেই সমস্ত নথি সহ আবেদনপত্র জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সেই ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দিতে হবে আধার সংযুক্ত থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
উল্লেখ্য, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলা করার ক্ষেত্রে যে যুক্তি পেশ করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মৃত্যুর ক্ষেত্রে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকলে করোনার কারণে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না?