নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশ এখন রয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের অপেক্ষায়। দীর্ঘ কয়েক দশকের আন্দোলনের পর শেষমেশ কর সেবকরা রাম মন্দির উদ্বোধনের জন্য সুপ্রিম অনুমতি পায়। এরপরই শুরু হয় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ এবং দেখতে দেখতে এখন তা শুধু কেবল উদ্বোধনের অপেক্ষা। আগামী ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে উদ্বোধন হবে অযোধ্যার নতুন রাম মন্দিরের।
অযোধ্যার নতুন রাম মন্দিরকে ঘিরে এখন রীতিমতো কপাল খুলেছে অযোধ্যার। রাম মন্দির ছাড়াও এখানে নতুন এয়ারপোর্টের উদ্বোধন হয়েছে, নতুনভাবে সেজে উঠেছে অযোধ্যা রেলস্টেশন। এছাড়াও মিলেছে নতুন নতুন ট্রেন। তবে এসবের মধ্যেই এবার যে খবর পাওয়া গেল তার রীতিমতো উচ্ছ্বসিত করছে দেশের রামভক্তদের। কেননা প্রতিদিন ৫০ হাজার মানুষকে রাম মন্দির দেখানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিজেপির তরফ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তাদের কর্মী সমর্থক এবং রামভক্তদের রাম মন্দির এনে দর্শন করানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর জন্য বিভিন্ন রুটে ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশেষ ট্রেনের। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা এবং সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এমনটা জানিয়েছেন। নতুন এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি কি জানিয়েছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন ? Ayodhya Mosque: অযোধ্যায় শুধু রাম মন্দির, শুধু মসজিদ নয়, তৈরি হবে ক্যান্সার হাসপাতালও! জানুন কত খরচ
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, যাতে বিজেপির সমস্ত কর্মীরা এবং রামভক্তরা রাম মন্দির দর্শন করতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ৫০ হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং রামভক্তদের এই বিশেষ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাম মন্দির দর্শন করানো হবে। এর জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। বিশেষ ওই ট্রেনের ব্যবস্থার জন্য পুরো বিষয়টি দেখছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বিজেপির তরফ থেকে এই যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী, রাম মন্দির দর্শন করানোর এমন কাজ শুরু হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে এবং তা চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। অর্থাৎ টানা তিন মাস এই সুযোগ পাবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এবং রামভক্তরা। এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ মানুষকে রাম মন্দির দেখানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৫টি ট্রেন চালানো হবে। তবে রাম মন্দির দর্শনের জন্য যে প্রয়োজনীয় খরচ তা কর্মীদের বহন করতে হবে এবং মন্দির দর্শনের সময় কোনো রকম ভাবে দলীয় পতাকা নিয়ে যাওয়া যাবে না।