৫৬ বছর বয়সে জিমে ওয়ার্ক আউট শ্বাশুড়ির, হার মানবে এই যুগের মেয়েরা

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

শেখার জন্য অসময় বলেও কিছু হয় না, যেকোনো বয়সেই নতুন জিনিস শেখা যায়। আর সেই কথাটাই কাজে করে দেখলেন ৫৬ বছর বয়সী এক মহিলা। চেন্নাইয়ের ওই মহিলার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ ঘোরা ফেরা করছে। ভিডিও টিতে দেখা যাচ্ছে ওই মহিলা জিমে ওয়ার্ক আউট করছেন। জানা যায় তিনি তার বৌমার সঙ্গেই একই জিমে নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করেন। ওয়ার্ক আউট মানে সাধারণ শরীরচর্চা নয়, তিনি রীতিমতো ওয়েট লিফ্টিং থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যয়াম সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী করেন। প্রত্যেকের জীবনে একাধিক চ্যালেঞ্জ থাকেই, তারই মধ্যে সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টান্ত গড়েছেন ওই মহিলা।

Advertisements

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ‘হিউম্যানস অফ ম্যাড্রাস’ নামক একটি পেজ থেকেই ওই ভদ্রমহিলার ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় গত চার বছর ধরে তিনি নিয়মিত জিমে ওয়ার্ক আউট (work out)। তার কারণ, তাঁর হাঁটুতে অনেক দিন ধরে ব্যথা ছিল যা কিছুতেই সেরে উঠছিল না। তখনই তিনি তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কি করা যায়? উত্তরে ছেলে জানায়, প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে।

Advertisements

তারপরই তিনি সাতপাঁচ না ভেবে, ৫২ বছর বয়সে জিমে ভর্তি হন। সেখানে পাওয়ারলিফ্ট, স্কোয়াট ইত্যাদি নিয়মিত করতে থাকেন। তার এই জিম এবং প্রতিদিনের ব্যায়ামে সব সময়ের সঙ্গী হয়ে ওঠেন তার পুত্রবধূ। তবে জানা যায় সেই জিমটির মালিক নাকি তাঁরই পুত্র। তবে ভিডিয়োতে যে বিষয়টি সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে তা হল, ওয়ার্কআউট পোশাক বাদ দিয়ে ওই মহিলা শাড়ি পরেই জিম করছেন।

Advertisements

এই ভিডিয়োটি প্রকাশ করার সাথে সাথে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে যে, মহিলার বয়স ৫৬। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না, তিনি শাড়ি পরেই পাওয়ারলিফ্ট করেন, পুশআপও করেন। আসলে বয়স কেবলমাত্র একটা সংখ্যা আর এই ভিডিয়োটি সেটিই প্রমাণ করল। এক শাশুড়ি তাঁর পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে করলেন এক অসাধ্য সাধন। ইতিমধ্যেই এক মিলিয়নেরও বেশি লোক দেখে ফেলেছে ভিডিয়োটি। আর ভিডিও দেখা মাত্র অসংখ্য মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছেন। যার প্রমাণ পাওয়া যায় ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে।

নেটিজেনরা বলেছেন, এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর কিছু হতে পারে না। এই ভিডিও শুধু অনুপ্রেরণাদায়কই নয়,প্রতিটা মহিলার জীবনের গতানুগতিক ছক ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অনেকে বলেন, কখনও কোনও বই তার মলাট দেখে বিচার না করায় শ্রেয়। আরো একজনের বক্তব্য সম্প্রতি এর থেকে ভাল অনুপ্রেরণামূলক গল্প নাকি তিনি শোনেন নি।

Advertisements