নিজস্ব প্রতিবেদন : টেলিকম পরিষেবা বিশেষ করে মোবাইল পরিষেবার সাথে আমরা গত ২০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে যুক্ত হয়েছি। তবে ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে এই পরিষেবার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সব পরিবর্তন এসেছে। প্রথমে ছিল 2G পরিষেবা। যে পরিষেবা নিয়েই সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট ছিলেন। পরে আসে 3G পরিষেবা। আর বর্তমানে মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গিয়েছে 4G পরিষেবা।
টেলিকম পরিষেবা এমন যুগান্তকারী পরিবর্তন আসলেও সময়ের সাথে তালে তাল মিলিয়ে মানুষ এই সকল পরিষেবার সাথে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। প্রথমদিকে 4G পরিসেবার ক্ষেত্রে যে ডাউনলোড স্পিড বা আপলোড স্পিড পাওয়া যেতো বর্তমানে তা দেখতে দেখতে অনেকটাই কমে গিয়েছে। এমত অবস্থায় মানুষ পরবর্তী পরিবর্তন অর্থাৎ 5G-র দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তবে 5G-র দিকে তাকিয়ে থাকলেও অধিকাংশ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন 5G পরিষেবা কত হতে পারে ডাউনলোড স্পিড?
4G পরিষেবার তুলনায় এক ধাপ অগ্রসর হওয়ার কারণে 5G পরিষেবায় অবশ্যই অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতির পরিষেবা পাওয়া যাবে। তবে বর্তমানে 4G পরিসেবায় গতি ১০০ mbps স্পর্শ করতে সক্ষম হলেও বাস্তবে লক্ষ্য করা গিয়েছে তা ৩৫ এমবিপিএস-এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করে। অন্যদিকে 5G পরিসেবার ক্ষেত্রে এই গতিবেগ ১০০ গুণ বেশি হবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
5G পরিসেবার ক্ষেত্রে দাবি অনুযায়ী ২০ জিবিপিএস পরিষেবার আশা করা হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর গতিবেগ ৫০ এমবিপিএস থেকে ৩ জিবিপিএস-এর মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। অন্যদিকে 5G পরিষেবায় ল্যাটেন্সি নেমে আসবে 4G পরিষেবার তুলনায় ৫০ গুণ কম। ল্যাটেন্সির অর্থ হলো অন্তর্জালে এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে একটি নির্দিষ্ট তথ্য প্রেরণে যে সময় লাগে।