নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রথম টেলিকম সংস্থা হিসেবে Jio এবং দ্বিতীয় টেলিকম সংস্থা হিসেবে Airtel ইতোমধ্যেই ভারতে 5G পরিষেবা চালু করে দিয়েছে। বর্তমানে নির্দিষ্ট কয়েকটি শহরে 5G পরিষেবা চালু হলেও আগামী দিনে দেশের সর্বত্র এই 5G পরিষেবা চালু করার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এই দুই টেলিকম সংস্থা। তবে এসবের মধ্যেই জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট করে দেওয়া একটি জায়গায় কোনভাবেই 5G পরিষেবা চালু করতে পারবে না টেলিকম সংস্থাগুলি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তরফ থেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। শহরের যে এলাকায় 5G পরিষেবা দিতে পারবে না টেলিকম সংস্থাগুলি সেই এলাকাগুলি হল বিমানবন্দর। বিমানবন্দর ছাড়াও বিমানবন্দর থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত 5G পরিষেবা চালু করা যাবে না। টেলিকম দপ্তরের তরফ থেকে টেলিকম সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে, 3,300-3,670 MHz ব্যান্ডের (C-ব্যান্ড) 5G পরিষেবা চালু করতে পারবে না তারা।
এর পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রানওয়ের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকার পাশাপাশি ২.১ কিমি দূরত্বের পরে আরও ৫৪০ মিটার জায়গা রেখে তবেই 5G বেস স্টেশন তৈরি করা যাবে। সেখানে রাখতে হবে 58 dBm / MHz -এর মধ্যে পাওয়ার এমিশন। কেন্দ্রীয় হঠাৎ করে এই নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান জল্পনা।
পাশাপাশি কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার পরে দেশে যে সকল বিমানবন্দর রয়েছে সেই সকল বিমানবন্দরে আসা যাত্রীরা আপাতত 5G পরিষেবা উপভোগ করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি বিমানবন্দর এলাকার পার্শ্ববর্তী জায়গাগুলিতেও 5G পরিষেবা আর পাওয়া যাবে না। যেমন কলকাতা বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী কৈখালি, দমদম, বিরাটি, নিউব্যারাকপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আপাতত 5G পরিষেবা নিষিদ্ধ হচ্ছে।
বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে যাতে সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্য আপাতত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত সাময়িক বলে জানা যাচ্ছে। কারণ আগামী দিনে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে DGCA দ্বারা রেডিও অল্টিমিটার ফিল্টার প্রতিস্থাপন করা হবে। এই অল্টিমিটার ফিল্টার প্রতিস্থাপন না হওয়ার ফলে আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার।