নিজস্ব প্রতিবেদন : টেলিকম জগতে প্রতিনিয়ত ঘটছে বিপ্লব। ফোনের জগতে যেমন ছোট ফোন থেকে বর্তমানে মানুষের হাতে হাতে এসে পৌঁছেছে স্মার্টফোন, ঠিক সেই রকমই ধাপে ধাপে টেলিকম পরিষেবা এসে পৌঁছেছে 2G থেকে 4G-তে। আর এবার পালা 5G-র। গত কয়েক বছর ধরেই এই পরিষেবা লঞ্চ করার বিষয়ে নানান খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এবার এই পরিষেবা চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা জানিয়ে দিলেন টেলিকম মন্ত্রী।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, জুন মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে নিলাম। এই সময়ের মধ্যেই স্পেক্ট্রাম বিতরণের কাজ সেরে ফেলা হবে। স্পেক্ট্রাম বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে শুরু হয়ে যাবে বাকি কাজ। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে প্রথমে দেশের ১৩টি শহরে এই 5G পরিষেবা চালু হবে।
যেসকল শহরগুলিতে প্রথম দফায় এই 5G পরিষেবা চালু হবে বলে জানা যাচ্ছে সেই সকল শহরগুলি হল কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, গুরুগ্রাম, পুণে, বেঙ্গালুরু, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, লখনউ, হায়দরাবাদ, জামনগর, আহমেদাবাদ, গান্ধীনগর। ইতিমধ্যেই এই সকল শহরগুলিতে ট্রায়াল সাইট স্থাপিত হয়েছে। এই সাইটগুলি থেকে জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোন-আইডিয়ার মতো টেলিকম সংস্থাগুলি পরিষেবা বিতরণ করবে।
গত তিন বছর ধরে আটটি সংস্থা দেশে দ্রুত 5G পরিষেবা চালু করার জন্য কাজ চালাচ্ছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো আইআইটি দিল্লি, আইআইটি বম্বে, আইআইটি কানপুরের মতো প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে এই পরিষেবা চালু হওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী যা আভাস দিল তাতে আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বর মাসেই 5G পরিষেবা চালু হয়ে যেতে পারে।
5G পরিষেবা এলে ইন্টারনেট স্পিড ১০ গুণ বেড়ে যাবে এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। কারণ এর মূল্য অনেক বেশি হবে বলেও জানা যাচ্ছে। স্পেক্ট্রাম বেশি দামে বিক্রি করতে চাইছে কেন্দ্র। সেই জায়গায় স্পেক্ট্রাম বেশি দামে বিক্রি হলে গ্রাহকদের পরিষেবা বহন করার ক্ষেত্রেও খরচ বৃদ্ধি পাবে।