নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরোত্তর বীরভূম জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জুলাই মাসেই আলাদাভাবে জেলায় লকডাউন জারি করা হয়েছিল। যে লকডাউন শেষ হয় ৩১শে জুলাই। এরপর বিভিন্ন মহলে শোনা যাচ্ছিল আগস্ট মাসে নতুন করে আলাদাভাবে লকডাউন জারি করবে বীরভূম জেলা প্রশাসন। আর সেই মতো মঙ্গলবার বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নতুন করে আলাদাভাবে লকডাউনের সূচি এবং বিধি-নিষেধ সম্পর্কিত নির্দেশিকা জারি করা হলো।
মঙ্গলবার একটি নির্দেশিকা জারি করে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে আগস্ট মাসের ৫, ৮, ২০,২১,২৭,২৮, ৩১ তারিখ পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, তা ওই সূচি অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনগুলিতে জেলায় পূর্ণ লকডাউন জারি হবে বীরভূমে। পাশাপাশি যেভাবে জেলার দুটি পৌর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার হার দেখে লকডাউন জারি করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। যে কারণে আগস্ট মাসের ৬ এবং ৭ তারিখ বীরভূমের রামপুরহাট ও নলহাটি পুরসভা এলাকার রামপুরহাট-১ ব্লক এলাকা, মুরারই-১ ও ২ ব্লক এলাকা, নলহাটি-১ ও ২ ব্লক এলাকা, ময়ূরেশ্বর-১ ব্লক এলাকা সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পূর্ণ লকডাউন জারি হবে। অন্যদিকে সিউড়ী, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া ও বোলপুর পুরসভা এলাকা ৬ ও ৭ ই আগষ্ট দুপুর ২ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত লকডাউন জারি হবে।
লকডাউন চলাকালীন বিধি-নিষেধ
বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এই দুদিন যে লকডাউন জারি করা হয়েছে সেই দুদিন নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ছাড়া কোনো ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। এমনকি লকডাউন চলাকালীন কোনরকম হাটবাজার, দোকানপাট খোলা থাকবে না। কেবলমাত্র ছাড় দেওয়া হয়েছে-
১) স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও রোগীদের জন্য সরকারি বা বেসরকারি পরিবহন।
২) ওষুধের দোকান।
৩) আইন-শৃঙ্খলা, আদালত, সংশোধনাগার, অগ্নিনির্বাপণ এবং জরুরিকালীন পরিষেবা।
৪) জল, বিদ্যুৎ, নিকাশী এবং সাফাইকার্য।
৫) চলমান প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং আভ্যন্তরীণ কর্মচারী দ্বারা চালিত কারখানা।
৬) কৃষিকাজ এবং চা বাগানের কাজ।
৭) অন্তঃরাজ্য এবং আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিবহন।
৮) ই-কমার্স এবং সেবি (SEBI) নিয়ন্ত্রিত ক্যাপিটাল ও ডেট মার্কেট পরিষেবা।
৯) খবরের কাগজ, টেলিভিশন, নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক মাধ্যম।
১০) রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারী।