নিজস্ব প্রতিবেদন : এবারের দুর্গা পুজোর আগেই সবচেয়ে আলোচনায় উঠে আসা পুজোরটি হল রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে এই দুর্গা প্রতিমার উচ্চতা ১১২ ফুট (112 feet Durga Idol) ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও একসময় দাবি করা হয়েছিল। তবে এই পুজোর অনুমতি মিলবে কিনা তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছিল টানাপোড়েন। এমনকি অনুমতি নিয়ে জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টেও।
১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা নিয়ে যখন কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত জল গড়ায় সেই সময় আদালত জানিয়ে দেয়, পুজোর অনুমতি নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেবেন জেলা শাসক সেটাই বলবৎ হবে। জেলাশাসকের কোর্টে বল ফেলতেই জেলাশাসক এই পুজোর অনুমতি দিতে পারলেন না। তিনি স্পষ্টভাবেই অনুমতি না দেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। অনুমতি না পাওয়ার পিছনে রয়েছে ৬টি কারণ।
১) এমন একটি পুজোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিদিন তিন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচের দাবি করলেও সমীক্ষা করে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ২০ থেকে ২৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে। যে পরিমাণ বিদ্যুৎ তাদের পক্ষে এখন সরবরাহ করা সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ দপ্তরের অনুমতি মেলেনি।
২) দমকল ও জরুরী দপ্তরের তরফ থেকে আগের বছরের পুজো ও জমির অনুমতিপত্র জমা করতে বলা হলেও জমা করতে পারেন নি পুজো উদ্যোক্তারা। যে কারণে তাদের তরফ থেকেও আবেদন পত্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
৩) এত বড় মাপের দুর্গা মূর্তি দেখতে প্রচুর সংখ্যক মানুষের ভিড় এবং সেই ভিড়ের কারণে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের তরফ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
৪) মন্ডপ বিশাল আকারের হলেও যে রাস্তার উপর মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে তা মাত্র ১২ ফুটের। মন্ডপের তুলনায় রাস্তার থাকার ছোট হওয়ায় অনেক ধরনের বিপদের আশঙ্কা থাকছে।
৫) যে জায়গায় এমন বিশালাকৃতির প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে সেই মন্ডপ এলাকায় কেবল লাইন সহ অন্যান্য বিদ্যুতের তার ইত্যাদি রয়েছে, যেগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
৬) এত বড় প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে আর সেই কথা মাথায় রেখেই অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি।