সুখবর, ১১ নম্বর টানেল তৈরি, এবার ট্রেনে চড়ে গ্যাংটক যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল সিকিম। সিকিমের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে দেখার জন্য পর্যটকদের প্রথমেই যেতে হয় গ্যাংটক। কারণ সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমতিপত্র পাওয়া যায়। ভ্রমণপিপাসু বাঙ্গালীদের বছরের বিভিন্ন সময় পাহাড়ের টানে গ্যাংটক যেতে দেখা যায়।

তবে এখনো পর্যন্ত গ্যাংটক যাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র সম্বল হল সড়ক পথ। পাহাড়ি এবং দুর্গম এলাকা হওয়ার কারণে এখনো পর্যন্ত রেল যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে সেই অসাধ্য সাধন করার জন্য ভারতীয় রেলের তরফ থেকে একের পর এক টানেল তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১১ নম্বর টানেল তৈরি এবং তার সূচনা হল সোমবার। ১১ নম্বর এই টানেলটি রয়েছে কালিম্পং জেলায় এবং এর উদ্বোধন করলেন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম ডিকে সিং সহ জেলাশাসক আর বিমলা।

১১ নম্বর এই টানেল সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত যে রেলপথ তৈরি হচ্ছে তার অন্যতম একটি টানেল। এখনো পর্যন্ত যে সকল টানেল তৈরি করা হয়েছে এবং তার সূচনা হয়েছে সেগুলির মধ্যে দীর্ঘতম হলো এই টানেলটি, ৩.২ কিমি। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেলপথে মোট ১৪টি টানেল তৈরি হবে। ছটি টানেলের উদ্বোধন হয়েছে এবং বাকি আটটি টানেলের উদ্বোধন হতে বাকি রয়েছে। সেগুলি দ্রুত উদ্বোধন করা হবে এবং আগামী বছর এই রেলপথ চালু করা যাবে বলে আশাবাদী রেল।

বর্ষাকালে পাহাড়ে ধসের কারণে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বহু সময়। সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। এছাড়াও নিরাপত্তার দিক দিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় সেনাবাহিনীদেরও। সে সকল কথা মাথায় রেখেই ৩৯ কিলোমিটার রেলপথ পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে রেলপথ হবে সেবক থেকে রংপো এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে রেলপথ তৈরি হবে রংপো থেকে গ্যাংটক।

বাকি যে সকল টানেল রয়েছে সেগুলির কাজ দ্রুত করার পাশাপাশি রেল সূত্রে জানা গিয়েছে সেতু তৈরীর কাজও দ্রুতগতিতে করা হচ্ছে। আগামী মাসেই সেবক রেল স্টেশনে দুটি লাইন পাতার কাজ শেষ হবে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী রেল।