নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই দেখা যায় সব ক্ষেত্রেই রেকর্ড। রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, শতাংশের বিচারে ১০০%। ৭৯ জন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে পাস করেছেন, শতাংশের বিচারে ৯০%। আর এই তালিকায় এবার রেকর্ড করলো বীরভূমও।
চলতি বছর বীরভূমের মোট ৪৪৭৩৬ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। যারা প্রত্যেকেই পরীক্ষায় সফল হয়েছেন। এর পাশাপাশি প্রথম দশে রয়েছেন ৬০ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। যা এর আগে জেলার কোন মাধ্যমিক পরীক্ষার পরিসংখ্যানে নেই। এই ৬০ জনের মধ্যে আবার দুজন ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম ৭৯ জনের তালিকায় রয়েছেন।
যে দু’জন প্রথম হয়েছেন তারা হলেন সিউড়ির সরোজিনী দেবী সরস্বতী শিশু মন্দিরের ছাত্রী অনস্মিতা ভট্টাচার্য এবং রামপুরহাটের জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবনের ছাত্র সুজিত মুখার্জি। অনস্মিতা ভট্টাচার্যের বাড়ি সিউড়ির সোনাতোর পাড়ায় এবং সুমিত মুখার্জির বাড়ি রামপুরহাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার পাড়ায়।
প্রথম দশে থাকা এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীকে এদিন বীরভূম জেলার ডিএম অফিসের তরফ থেকে ফুল, মিষ্টি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেরণ করা শুভেচ্ছাপত্র বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতির কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পরীক্ষা না হলেও যাতে পরীক্ষার্থীদের কোন রকম সমস্যা না হয় তার জন্য রাজ্য সরকার বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি বেছে নিয়ে মঙ্গলবার ফলাফল প্রকাশ করে। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে ফলাফল প্রকাশ করার পর ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি স্কুলেও মার্কশিট বিতরণ করা হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে।