নিজস্ব প্রতিবেদন : টেলিকম বাজারে ভারত ইতিমধ্যেই 4G-র পর 5G-তে পা দিয়েছে। সম্প্রতি দেশে Jio এবং Airtel লঞ্চ করেছে 5G পরিষেবা। দেশের মোট পাঁচটি শহরে এই দুই টেলিকম সংস্থা তাদের 5G পরিষেবা চালু করেছে। সেই সকল শহরগুলির মধ্যে দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা এবং বারাণসীতে 5G পরিষেবা চালু করেছে জিও। অন্যদিকে এয়ারটেল 5G পরিষেবা লঞ্চ করেছে দিল্লি, মুম্বাই, বারাণসী এবং শিলিগুড়িতে।
দেশের এই পাঁচটি শহরের গ্রাহকরা আপাতত 5G পরিষেবার স্বাদ গ্রহণ করতে পারলেও অন্যত্র এখনো এই পরিষেবা চালু হয়নি। তবে ২০২৩ সালের মধ্যেই দেশের প্রতিটি কোনায় 5G পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে হলে টেলিকম সংস্থাগুলির তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এখন ব্যবহারকারীরা যখন 5G পরিষেবা নিয়ে ভাবছেন সেই সময় কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যা জানালেন তাতে গ্রাহকরা 5G নেবেন না 6G নেবেন তা নিয়েই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। কারণ কেন্দ্র ইতিমধ্যেই 6G পরিষেবা দ্রুত চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিপাবলিককে জানিয়েছেন, ‘২০২৮-২৯ সালের মধ্যে ভারতে 6G লঞ্চ হয়ে যাবে।’ অর্থাৎ মাত্র চার পাঁচ বছরের মধ্যেই ফের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে টেলিকম জগতে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, 6G পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার পর্যাপ্ত অর্থ, সময়, সংস্থান বিনিয়োগ করেছে। প্রযুক্তির দুনিয়ায় ভারত বিশ্বগুরু হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও জানান, ‘6G প্রযুক্তির ১৫টি পেটেন্ট ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে এসেছে। এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা আমাদের সামনে পরিষ্কার। 6G-র মাধ্যমে প্রযুক্তি দুনিয়ায় নেতৃত্ব দিতে চায় ভারত।’ এই প্রসঙ্গে তিনি বলতে গিয়ে বিশ্বের কথা তুলে ধরে জানান, ‘আপনি যদি দেখেন এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মাত্র ৫টি দেশে সম্পূর্ণ এন্ড-টু-এন্ড 5G স্ট্যাক রয়েছে। ষষ্ঠ দেশ হিসাবে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারত।’