নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সত্যি করে ভূভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল তাণ্ডব চালাতে পারে এই আশঙ্কা রেখেই প্রশাসনিক ভাবে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার রেলের তরফ থেকেও ৭ দফা নির্দেশিকা (Cyclone Remal Railway Steps) জারি করা হলো।
১) ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি দেখে গত ২৫ মে সকাল আটটা থেকে রেলওয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে এবং সেই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে ২৭ মে সকাল আটটা পর্যন্ত। এই কন্ট্রোল রুম পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল, এসএন্ডটি, নিরাপত্তা ও পরিচালনা বিভাগের উপর। কন্ট্রোল রুমের কাজ হল কোথাও কোনো রকম ওভারহেড তার অথবা লাইনে সমস্যা হচ্ছে কিনা অথবা ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তার দিকে নজর রাখা।
২) পূর্ব রেলের যে সকল ডিভিশন রয়েছে সমস্ত ডিভিশনকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ঝড় সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যাতে প্লাটফর্মের শেড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের রেলের ছাউনি যেন শক্তপোক্ত থাকে সেই বিষয়ে নজরদারি রাখা হয়। কেননা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ঝড়ের তান্ডবে এই সকল শেড উড়ে যাওয়াই একদিকে যেমন রেলের ক্ষতি হয় ঠিক সেই রকমই যাত্রীরা অনেক সময় আহত হন। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
৪) স্টেশনের বাইরে হোক অথবা ভিতরে, যে সকল জায়গায় বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন ধরনের বোর্ড অথবা বড় বড় হোর্ডিং লাগানো রয়েছে সেগুলি শক্তপোক্ত রয়েছে কিনা তা ভালোভাবে দেখে নেওয়া। কেননা এই সকল বোর্ড অথবা হোর্ডিং ভেঙ্গে আহত হতে পারেন যাত্রীরা।
৫) ঝড়ের তীব্রতা দেখে কখন কোন পরিস্থিতিতে ট্রেন চালাতে হবে, সেই বিষয়ে ডিআরএমদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৬) ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হলেই সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনগুলিকে তাদের কাছে থাকা স্টেশনে দাঁড় করাতে হবে। স্টেশন ছাড়া মাঝ পথে কোথাও ট্রেন দাঁড় করানো হলে সেক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হবে যাত্রীদের। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭) আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবে রেল। ঝড়ের গতি প্রকৃতির উপর নজরদারি রেখে কাজ চালাতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।