লাল্টু : কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ২৭ এপ্রিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ ১১ জনের নামে মামলা রুজু হয় দুবরাজপুরে। সোমবার এই ১১ জনের মধ্যে ৭ জন দুবরাজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
ঘটনার সূত্রপাত একুশের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ২৫ জুন। কোভিড প্রোটোকল লঙ্ঘন করার পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর থানায় যে মামলা রুজু করা হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই দিন দুবরাজপুরের মাদৃক সংঘের ময়দানে বিকাল বেলায় একটি নির্বাচনী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দুবরাজপুরের বর্তমান বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা অন্যান্য বিজেপি নেতারা। এই কর্মসূচিতে মানা হয়নি নির্বাচন কমিশন এবং মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ বলে অভিযোগ।
যার পরিপ্রেক্ষিতেই দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও দুবরাজপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়। সোমবার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, প্রাক্তন জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় সহ মোট ৭ জন দুবরাজপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দুবরাজপুর আদালতের বিচারক সমস্ত দিক বিবেচনা করে এদের জামিন মঞ্জুর করেন। এমনটাই জানিয়েছেন দুবরাজপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী রাজেন্দ্র প্রসাদ দে।
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা শাসকদল এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে ছাড়েননি। তিনি জানিয়েছেন, “এই মামলায় এমন একজন বিজেপি কর্মীর নাম দেওয়া হয়েছে যিনি সেই সময় করোনা আক্রান্ত ছিলেন। শুধু বিজেপি করেন বলে নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে যদি কোনো রাজনৈতিক দল কোভিড প্রোটোকল মেনে চলছে সেটা হলো বিজেপি।”
তার এটাও অভিযোগ, “শাসকদল তৃণমূল করোনাকালেও একের পর এক জায়গায় সভা এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি করে চলেছে। কোনরকম কোভিড প্রোটোকল না মেনেই। অথচ তাদের ক্ষেত্রে প্রশাসন নিশ্চুপ।”