লকডাউনে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য, ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি করলেই ৭ বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদন : ২৪ শে মার্চ থেকে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে ২১ দিনের লকডাউন। লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দী, কাজ না থাকায় আর্থিক টানাটানি, আর এসবের মাঝেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কালোবাজারি করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের ধান্দায় রয়েছেন। তবে এবার ওই সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য, ওষুধ অথবা মেডিকেল সামগ্রী নিয়ে যদি কোনো ব্যবসায়ী কোনরকম কালোবাজারি করে থাকেন তাহলে ৭ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে। দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব।

লকডাউন শুরু হওয়ার দিন থেকেই নানান ভাবে অভিযোগ উঠতে শুরু করে, বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, অত্যাবশ্যকীয় জিনিস, ওষুধ ইত্যাদি নিয়ে কালোবাজারি করছে। বিশেষ করে মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদির প্রসঙ্গ বারবার উঠে আসে। তবে এইগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলায় জেলায় বিভিন্ন দোকান ও গোডাউনে পুলিশ অভিযান চালায়। আর এবার এসব ক্ষেত্রে কোথাও যদি কোনরকম কালোবাজারি দেখা যায় তাহলে কড়া হাতে তা দমন করার নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র সচিব।

উল্লেখ্য, আগামী ১৪ তারিখে ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেও সেদিন লকডাউন তুলে নেওয়া হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ ইতিমধ্যেই মোদির মন্ত্রিসভার অনেক মন্ত্রী লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এমনকি উত্তরপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও লকডাউন বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। অপরদিকে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের আরও কতদিন সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একপ্রকার বুঝিয়ে দিয়েছেন লকডাউন বাড়তে পারে। তবে লকডাউন বাড়বে, না ১৪ তারিখেই শেষ হবে, না বাড়বে তা স্পষ্ট হবে আগামী শনিবার মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর বলেই মনে করা হচ্ছে।