নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত সরকারকে এর আগে দেশের বাইরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে দেখা গিয়েছে বিদেশি বিভিন্ন অ্যাপের ক্ষেত্রে। কিন্তু এবার দেশের অন্তরেই দেশের ৭০ লক্ষ মোবাইল নম্বরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালালো মোদি সরকার। সরকারের তরফ থেকে এই ৭০ লক্ষ মোবাইল নম্বর বাতিল (Mobile Number Blocked) করে দেওয়া হলো। সরকারের এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে যদি আপনি এই ৫টি নিয়ম না মানেন তাহলে কিন্তু আপনারটাও ভোগে যাবে।
সরকারের তরফ থেকে যে ৭০ লক্ষ মোবাইল নম্বর বাতিল করা হয়েছে তার পিছনে রয়েছে বড় বড় আর্থিক প্রতারণার কারণ। দেশে অনলাইন পরিষেবা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে দেখা গিয়েছে অনলাইন প্রতারণার মতো বিভিন্ন ঘটনা। অনলাইন প্রতারণার এই সকল ঘটনায় ইতিমধ্যেই বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খুইয়েছেন। এবার এইসব দিক দিয়েই করা পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার এবং এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই ৭০ লক্ষ মোবাইল নম্বর বাতিল করা হয়েছে।
মোবাইল নম্বর ব্লক করা ছাড়াও আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কাজ শুরু করে দিল। কেমন সিম কার্ড বিক্রি থেকে মোবাইলের আইএমইআই নম্বর ব্লক করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্র। এই সমস্ত কিছুর মূল উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা, বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা।
নিজের মোবাইল নম্বর কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন? নিজের মোবাইল নম্বর যাতে এইরকম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মধ্যে না পড়ে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে গ্রাহকদের। পাঁচটি বিষয়ে মাথায় রাখলেই এই ধরনের ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
১) প্রতারকদের তরফ থেকে অনেক সময় সিম সোয়্যাপিংয়ের বিষয়ে বলতে পারে। ফোন করে এই ধরনের কথা বলা হয় এবং নম্বর ব্লক হয়ে যাওয়ার মতো ভয় দেখিয়ে এমন কাজ করা হয়। এই ধরনের কাজ থেকে সবসময় দূরে থাকতে হবে।
২) পুরস্কার জেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় প্রলভন দেওয়া নানান ধরনের মেসেজ আসে মোবাইল নম্বরে অথবা অন্য কোন মাধ্যমে। এই সকল মেসেজের সঙ্গে একটি করে ফিশিং লিঙ্ক জুড়ে দেওয়া হয়। কখনোই সেই সকল লিংকে ক্লিক করলে হবে না।
৩) মেসেজ ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপেও ম্যালিশিয়াস লিংক পাঠানো হয় অনেক সময়। এই ধরনের ঘটনা থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের মেসেজ এলে কখনোই তা ফরওয়ার্ড করলে হবেনা এবং লিংকে ক্লিক করলেই হবে না।
৪) সিমকার্ড সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কোন ব্যক্তিগত তথ্য কখনোই কারো সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। এমনকি মেসেজ করেও এই ধরনের কাজ করা উচিত নয়।
৫) নিজের মোবাইলের সিমকার্ডের কল লিস্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য মেসেজ ইত্যাদি মাঝে মাঝেই দেখে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোথাও কোন সন্দেহভাজন কিছু নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে সেই বিষয়ে গ্রাহক সেবা প্রতিনিধিকে অভিযোগ জানাতে হবে।