সংকটের মাঝেই স্বস্তির খবর, অ্যাক্টিভের তুলনায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও আমজনতা দিনরাত আশঙ্কায় ভুগছেন। পেটের দায়ে কাজ করতে বের হতে হচ্ছে সকলকেই। আর এই বাইরে বের হওয়াই যেন জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া। যে কারণে বিশ্বের প্রতিটি নাগরিক বর্তমানে এই মহামারী থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। কিন্তু মুক্তি এখনো অধরা, বিশেষজ্ঞদের মত ভ্যাকসিন বের না হওয়া পর্যন্ত নিস্তার নেই।

দীর্ঘ লকডাউনের পর ভারত যখন ধীরে ধীরে আনলক হতে শুরু করেছে ঠিক সেসময় দেশে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে সংক্রমণের সংখ্যা, সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে বিপুল হারে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৪২৫ জন। আর এরপর এই দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল ১১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৩-এ। দেশে মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭,৪৯৭ তে। আর এই সংক্রমণ বৃদ্ধির সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এসবের মাঝেই ঢাকা পড়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য। যা হলো সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা। আর এই সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাই এখন ভারতীয়দের কাছে সংকটের মাঝে স্বস্তির খবর।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ হাজার ৬৬৪ জন মানুষ। আর এর পরেই সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৭ লক্ষ। দেশে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ লক্ষ ৮৭ জন। সুতরাং স্বস্তি এখানেই যে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা অনেক বেশি। অন্যদিকে দেশে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৫৯। সুতরাং বলাই বাহুল্য অ্যাক্টিভ রোগীর তুলনায় দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।

বিশেষজ্ঞদের অনুমান আগামী দিনে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে। আর এই সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে। আর এমনটা সম্ভব হচ্ছে দেশের প্রথম সারির করোনাযোদ্ধা চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে। আর তাদের এই পরিশ্রমকে সম্মান জানিয়ে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে অবশ্যই সরকারি নির্দেশিকা, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।