70s actress Zeenat Aman also overshadowed Srabanti in marriage and love: ৭০ দশকের নামজাদা অভিনেত্রী তিনি। রূপ-জৌলুসে কাঁপিয়েছিলেন অভিনয় জগত। সেই নিয়ে কম সমালোচনায় পড়তে হয়নি অভিনেত্রীকে। ব্যক্তিগত জীবনে পড়েছিল তার প্রভাব। প্রেম ও বিয়ের সংখ্যায় শ্রাবন্তীকে টেক্কা দিয়েছেন তৎকালীন সময়ের এই অভিনেত্রী। একটা দুটো নয়, তিন তিনটি বিবাহ করেছিলেন তিনি। ৫৪ বছর বয়সেও তিনি সংসার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনোটাই সফলতা পায়নি। এতকিছু বলা হচ্ছে অভিনেত্রী জিনাত আমানের (Zeenat Aman) সম্পর্কে। প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের বেশ কিছু গোপন রহস্য। যা আজকের এই প্রবন্ধে উত্থাপন করা হলো।
বলিউড জগতের অন্যতম অভিনেত্রী জিনাত আমান। শ্রাবন্তীর মতো তাঁর অভিনয় দক্ষতা যেমন সুস্পষ্ট, তেমনি শরীরী আবেদন মারকাটারি। সিনেমা জগতের পিছনেও তাঁর শরীরী ছোঁয়ায় কত যে পুরুষ ঝলসে গেছে তা ধারণার বাইরে। রঙিন পর্দায় কাজ করার সাথে সাথে জড়িয়েছেন একাধিক সম্পর্কে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস এমনই যে প্রত্যেক সম্পর্কেই তাঁকে (Zeenat Aman) ঠকতে হয়েছে। বলা যায় সম্পর্কের খেলায় নেমেছিলেন তিনি। যার প্রয়োজন হয়েছে তাঁকে নিয়ে খেলেছে, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে তো বাদ দিয়ে দিয়েছে।
১৯৭১ সালে সিনেমা জগতে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ গানের মাধ্যমে দেশ জোড়া খ্যাতি লাভ করে জিনাত আমান। আর সেই সময়েই জিনাত আমানের প্রেমে প্রথম মুগ্ধ হন অভিনেতা দেবানন্দ। কিন্তু সেই সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে দাঁড়ান রাজ কাপুর। মূলত রাজ কাপুরের সাথে পার্টিতে জিনাতকে কথা বলতে দেখেই জিনাতের প্রতি তিক্ততা শুরু হয় দেবানন্দের। এমনকি জিনাতকে নিয়ে রাজ কাপুর-দেবানন্দের মধ্যে বহুবার দ্বন্দ্বের খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল ম্যাগাজিনের পাতায়।
তবে শুধু দেবানন্দ বা রাজ কাপুর নয়, জানা গেছে আটজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন জিনাত আমান। রাজ-দেবানন্দের পরে অভিনেত্রীর জীবনে আসেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পরবর্তীতে সঞ্জয় খানের সাথে গাঁটছাড়া বাঁধেন অভিনেত্রী জিনাত। সালটা ছিল ১৯৭৮। তবে তাঁদের সেই বিবাহ ছিল গোপনীয়। বেশিদিন গোপন থাকতে পারেনি, বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় তীব্র কলহ। এমন কি শোনা যায় জিনাত আমানেল উপর শারীরিক অত্যাচারও করেন সঞ্জয়। যার জন্য হসপিটালে ভর্তি করতে হয় অভিনেত্রীকে। মুখে অ্যাসিড ছোড়ার চেষ্টাও করেন সঞ্জয়। যা অভিযোগ করেন অভিনেত্রী নিজেই। তবে পরবর্তীতে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন জিনাত। তারপর বেশ কিছু বছর একাকী জীবন কাটায় জিনাত।
পরবর্তীতে আবার ধারণা পরিবর্তন হয় জিনাত আমানের। মাজহার খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে এই বিয়েটাও ছিল গোপনীয়। কিন্তু কখনোই তা শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা পায়নি। মাঝপথে সেই সংসার থেকেও বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী। সুখের সংসার করার আশায় ৫৪ বছর বয়সেও আমান খান্নাকে তৃতীয় বার বিবাহ করেছিলেন জিনাত (Zeenat Aman)। তার বয়সের তুলনায় ২১ বছরের ছোটো তিনি। কিন্তু সেই বিয়েও টেকেনি। ফলে সংসার করা হয়ে ওঠেনি জিনাতের। বর্তমানে ৭২ বছর বয়সে তিনি একাকী জীবন কাটাচ্ছেন।