নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের ভোটের দিন অশান্ত হয়ে উঠলো নানুর, ময়ূরেশ্বর। বাকি জেলার অন্যান্য প্রান্ত থেকে আপাতত সেরকম কোনো উত্তেজনার খবর না এলেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। যদিও পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং বর্তমানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে।
নানুর বিধানসভার অন্তর্গত বেলুটি গ্রামে সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ওই এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। ঘটনার খবর পেয়ে নানুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একইভাবে নানুর বিধানসভার সাঁওতা গ্রামে বিজেপি তৃণমূল দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় নানুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহা বুথ পরিদর্শন করতে গেলে তার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়। যদিও পাল্টা মারধরের অভিযোগ রয়েছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী টহলদারি শুরু করেছে। ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ময়ূরেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী শ্যামাপদ মন্ডলের ভাই বিশ্বজিৎ মন্ডলের বিরুদ্ধে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ তুললো তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর ভাইকে মারধর করার। এই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থীর ভাই বিশ্বজিৎ মন্ডল সহ এলাকার বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
সদাইপুর থানার অন্তর্গত সাহাপুরের যাত্রা গ্রাম এবং কোমলপুর গ্রামে সাময়িকভাবে অশান্তি ছড়ায়। এই দুই ঘটনায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং সেক্টর অফিসারের নেতৃত্বে এলাকায় বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় এবং টহলদারি শুরু করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদাড়ির পর এলাকায় শান্তি ফিরে আসে।
বোলপুরের কাছারিপট্টির যুবক গোবিন্দ চন্দ্র দালাল আক্রান্ত হন নিজের কাকার হাতেই। তাকে এবং তার ভাইকে কাটারি দিয়ে মারতে আসার অভিযোগ। অভিযোগ, গোবিন্দ্র চন্দ্র দালালকে জোর করে তৃণমূলে ভোট দেওয়ার দাবি তোলেন তারই কাকা। ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই যুবক। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
অন্যদিকে বীরভূমের কাঁকরতলার কদমডাঙ্গা গ্রামে ৪৫টি সকেট বোমা এবং ৪ কেজি গান পাউডার উদ্ধার করে কাঁকরতলা থানা পুলিশ। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়ির কাছ থেকে এই সকল সামগ্রী উদ্ধার হয় বলে জানা যাচ্ছে।
[aaroporuntag]
এর পাশাপাশি বীরভূমের একাধিক এলাকায় বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের সিউড়ি বিধানসভার প্রার্থী বিকাশ রায় চৌধুরী দাবি করেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির খবর মিললেও শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।