শুভেন্দুর সাথে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদানকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগেই অনুমান করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাপ্ত মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে একঝাঁক রাজ তারকার যোগ দেবেন গেরুয়া শিবিরে। আর সেই অনুমানই সত্যি হলো শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে অমিত শাহের জনসভায়। এদিনের সভায় যোগ দিলেন মোট ১০ জন বিধায়ক, সাংসদ সহ হেভিওয়েট একঝাঁক তারকারা। মোট ৫০ জন।

যোগদানকারীদের তালিকা

১) শুভেন্দু অধিকারী (যোগদানের কান্ডারি), ২) সুনীল মণ্ডল, ৩) দশরথ তিরকে, ৪) বনশ্রী মাইতি, ৫) তাপসী মন্ডল, ৬) অশোক কুমার দিন্দা, ৭) সুদীপ মুখার্জি, ৮) বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, ৯) সৈকত পাঁজা, ১০) শীলভদ্র দত্ত, ১১) দীপালি বিশ্বাস, ১২) শুক্রা মুন্ডা, ১৩) শ্যামাপদ মুখার্জি (প্রাক্তন মন্ত্রী), ১৪) বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, ১৫) কর্নেল দীপাংশু চৌধুরী, ১৬) অজিত দত্ত, ১৭) বাপ্পা মজুমদার, ১৮) কার্তিক পাল, ১৯) প্রফুল্ল বর্মন সত্যেন রায়, ২০) দেবাশিস মজুমদার, ২১) ডক্টর গোপাল মিশ্রা, ২২) সম্ময় ব্যানার্জি, ২৩) দেবাশীষ জানা, ২৪) নিত্যানন্দ চ্যাটার্জি, ২৫) গৌতম রায়, ২৬) প্রফেসর ইদাউল হক, ২৭) পারভেজ রহমন,

২৮) আলমগীর মোল্লা, ২৯) কবিরুল ইসলাম, ৩০) করম হোসেন খান, ৩১) প্রণম বসু, ৩২) অমূল্য মাইতি, ৩৩) রামপ্রসাদ গিরি, ৩৪) তপন দত্ত, ৩৫) কাবেরী চ্যাটার্জী, ৩৬) দুলাল মন্ডল, ৩৭) স্নেহাশীষ ভৌমিক, ৩৮) আকাশদীপ স্নেহা, ৩৯) তন্ময় রায়, ৪০) রঞ্জন বৈদ্য, ৪১) দেব মহাপাত্র, ৪২) সুকুমার দাস, ৪৩) বাণী সিং রায়, ৪৪) ইন্দ্রজিৎ দত্ত, ৪৫) মৃন্ময় মুখার্জি, ৪৬) গৌতম মাঝি, ৪৭) সমীরণ মিত্র, ৪৮) দেবাশীষ মুখার্জি, ৪৯) ফিরোজ খান, ৫০) জয়ন্ত মিত্র।

উল্লেখ্য এই যোগদানের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের বর্তমান শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ৯ জন বিধায়ক। যাদের মধ্যে ৬ জন রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এবং বাকিরা কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট থেকে যোগ দিলেন। উল্লেখযোগ্য মুখ হিসেবে রয়েছে কংগ্রেস নেতা সম্ময় ব্যানার্জি। এছাড়াও রয়েছেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের গুরুত্বপূর্ণ ৬ জন নেতা। যারা আজ সকলেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন।

গতকাল থেকে যে তালিকা অর্থাৎ যাদের গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানো সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তাদের মধ্যে ৪৩ জনের নাম বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু শনিবার যোগদান মঞ্চে যে নামের তালিকা ঘোষণা করা হয় তাতে দেখা যায় সংখ্যাটা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি। আর এই এতসংখ্যক নেতাকর্মীদের যোগদান স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের কপালে ভাঁজ ফেলছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।