নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার থেকে রাজ্যে ঘনঘন বজ্রপাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই ঘন ঘন বজ্রপাতের কারণে ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার হুগলিতে ১১ জন, মুর্শিদাবাদের ৯ জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ২ জন সহ মোট ২৬ জন প্রাণ হারান। এরপরেও মঙ্গলবার বীরভূম সহ রাজ্যে দুই জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর এইসবের মাঝেই বুধবার ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলো হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ লক্ষ্য করা যাবে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে একাধিক জেলায় ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন থেকে রাজ্যে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে, দুপুরের পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
যে সকল জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সে সকল জেলাগুলি হল সুন্দরবন, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু অংশ, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার। পাশাপাশি এই সকল জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি গতি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
অন্যদিকে জুন মাসের ১০ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এবিষয়ে আবহাওয়া দপ্তরের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ আছড়ে পড়বে রাজ্যের উপর। অনুমান করা হচ্ছে ১০ অথবা ১১ তারিখ তা আছড়ে পড়তে পারে। এই নিম্নচাপের প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি ছাড়াও ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের কিছু অংশে।