নিজস্ব প্রতিবেদন : দীঘা এমন এক পর্যটন কেন্দ্র যেখানে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সবসময়ই পর্যটকদের আগমন হতে দেখা যায়। দীঘায় যে সকল পর্যটকরা আসেন সেই সকল পর্যটকদের অধিকাংশরাই মূলত ট্রেনে চড়ে এসে থাকেন। এখন দিঘার চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকেও একের পর এক স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবে এরপরেও যদি দীঘা যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট না মেলে তাতেও চিন্তা নেই। কেননা সহজেই দীঘা পৌঁছাতে এবার স্পেশাল বাস চালাবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম (Digha Special SBSTC Bus)।
দীঘায় বছর ভর পর্যটকদের ভিড় থাকলেও ভিড় সবচেয়ে বেশি বাড়তে দেখা যায় পুজোর ছুটিতে। কেননা পুজোর ছুটিতে অফিস কাছারি থেকে স্কুল কলেজ সবই বন্ধ থাকার কারণে ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুযোগ থাকে। যে সময় শুধু দীঘা নয়, দেশ-বিদেশের যত পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে সমস্ত জায়গাতেই পর্যটকদের ভিড় জমাতে দেখা যায়।
পিছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, প্রত্যেক বছর উৎসবের মরশুমে দার্জিলিং, পুরির পাশাপাশি দিঘার ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে এই বছর এমন সমস্যা থেকে পর্যটকদের রেহাই দিতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম একগুচ্ছ বাড়তি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সকল বাস আগামী মহালয়ার দিন থেকেই চালানো শুরু করে দেবে সংস্থাটি। মহালয়ার দিন থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বাড়তি এই সকল বাসগুলি দীঘা ও বিভিন্ন ডিপোর মধ্যে যাতায়াত করবে।
আরও পড়ুন : Safe Airplane Seats: বিমানের কোন আসনগুলি তুলনামূলক নিরাপদ, টিকিট কাটার আগে জেনে নিন বিস্তারিত
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে অন্যান্য সময় দীঘা পর্যন্ত প্রচুর বাস চালানো হয়ে থাকে তাদের তরফে। সাধারণ সময়ে চলাচল করা এই সকল বাসের সংখ্যা ৪০ থেকে ৪৫। উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে মহালয়ার দিন থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত এই সকল বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করে করা হবে ৫৫ থেকে ৬০। অর্থাৎ প্রায় ২০টি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০টি বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হলে অন্ততপক্ষে আরও ২০০০ এর কাছাকাছি পর্যটকরা দীঘা ও দীঘা থেকে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ পাবেন। কলকাতায় পাশাপাশি এই সকল বাস ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, আরামবাগ থেকেও চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এই সকল বাসের ফলে ট্রেনের টিকিট নিয়ে টানাটানি হলেও পর্যটকরা দীঘা যাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না।