নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতে অনেক জায়গা রয়েছে যে সকল জায়গায় পৌঁছানোর জন্য একমাত্র ভরসা হলো ট্রেন। যে কারণে ওই সকল এলাকায় পৌঁছাতে ট্রেনের উপরই ভরসা করতে হয় সাধারণ মানুষদের। ট্রেনে চড়া এই সকল মানুষদের নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে উঠতে হয় আর নির্দিষ্ট স্টেশনে নামতে হয়। ভারতে এইরকম রেলস্টেশনের সংখ্যা অন্ততপক্ষে আট হাজার। তবে এই সকল স্টেশনের মধ্যেই বিস্ময়কর এক স্টেশন (Amazing Railway Station) রয়েছে যেখানে কেবলমাত্র ১৫ দিন ট্রেন থামে। ওই ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেই আবার ওই স্টেশন যেকার সেই অর্থাৎ নির্জন স্টেশনে পরিণত হয়।
ভারতবর্ষে সাধারণ যাত্রীদের উঠা-নামার জন্য প্রায় ৮ হাজার রেল স্টেশন থাকলেও এমন কোনো রেলস্টেশন নেই যেখানে কেবলমাত্র বেছে বেছে বছরের ১৫ দিন ট্রেন থামে। অনেক রেলস্টেশন রয়েছে যেগুলিতে এক সময় ট্রেন থামলেও এখন আর থামেনা। কিন্তু আবারো বলছি এমন কোন রেলস্টেশন নেই যেটি কেবলমাত্র বছরের ১৫ দিন সক্রিয় হয় আর বাকি সময় থাকে নিষ্ক্রিয়।
এমন বিস্ময়কর রেলস্টেশনটি রয়েছে বিহারে। যে রেলস্টেশনটির কথা বলা হচ্ছে তার নাম হলো অনুগ্রহ নারায়ণ রোড ঘাট স্টেশন। বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় রয়েছে এই স্টেশনটি। যে স্টেশনটিতে পিতৃপক্ষের সময় কেবলমাত্র ১৫ দিন ট্রেন স্টপেজ দেয়। বিহারের গয়ায় অনেকেই পিন্ডদানের জন্য হাজির হয়ে থাকেন। আর এই যে ঘাটটির কথা বলা হচ্ছে সেটিও পিন্ডদানের জন্য বিখ্যাত।
আরও পড়ুন : Vishwakarma Puja 2024: ২০২৪-এর বিশ্বকর্মা পুজা কবে ১৬ নাকি ১৭ ই সেপ্টেম্বর! আপনি কবে পুজা করবেন!
অনেকে মনে করেন, এই ঘাটেই প্রথম পিন্ডদানের অনুষ্ঠান হয়েছিল। যে কারণেই ভারতের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি নেপাল থেকেও অনেকে বিহারের এই ঘাটে ছুটে আসেন পিন্ডদান করতে। বছরের মাত্র ১৫ দিন স্টেশনে ট্রেন স্টপেজ দেওয়ার পর পিতৃপক্ষের অবসান ঘটলেই আবার শুনশান হয়ে যায় এই ঘাট। অন্যদিকে যখন এই স্টেশনে ট্রেন থামে তখন সেখানে প্রচুর দোকান বসে, মেলার মতো রূপ ধারণ করে পুরো স্টেশন।
অনুগ্রহ নারায়ণ ঘাটের কাছে যেখানে পিণ্ডদানের অনুষ্ঠান করা হয় সেটি অবশ্য গঙ্গার ধারে নয়। এই রেলস্টেশন এবং জায়গাটি রয়েছে পুনপুন নদীর তীরে। পুরানে এই নদীকে আদি গঙ্গা নদী বলা হয়। যে কারণে অনেকেই মনে করেন এখানে পিন্ডদান অনেক পুণ্যের। আর সেই কারণেই দূর দূরান্ত থেকে এখানে পিণ্ডদানের জন্য ছুটে আসেন অনেকেই। এখানে আসার সবচেয়ে সহজ পথ হল রেলপথ।