Suri Sadar Hospital: হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের আনাগোনায় নতুন নিয়ম, জারি হচ্ছে সিউড়ি সদরে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চিকিৎসার জন্য প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিনিয়ত রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা হয়ে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে সরকারি বেশ কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। তবে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতেই রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর হাসপাতালগুলিকে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে সিউড়ি সদর হাসপাতালে (Suri Sadar Hospital) জারি হতে চলেছে নতুন নিয়ম।

Advertisements

সিউড়ি সদর হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বুধবার বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জন মন্ডল সহ অন্যান্যরা। এই বৈঠক শেষে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন নতুন নতুন ব্যবস্থাপনা করার পাশাপাশি হাসপাতালে আনাগোনা করা রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়েও নতুন নিয়ম জারির কথা বলা হয়।

Advertisements

নতুন নিয়ম জারির বিষয়ে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, যিনি চিকিৎসা করাতে আসছেন অর্থাৎ রোগীর নাম হাসপাতালের কাছে নথিভুক্ত থাকছে। কিন্তু রোগীর সঙ্গে কত জন আত্মীয়-স্বজন আসছেন সেই হিসেবে কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে থাকে না। আর এই হিসেব রাখতেই এবার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন : EPFO: বেড়ে গেল টাকা তোলার পরিমাণ, এবার অনেক বেশি সুবিধা পাবেন EPFO গ্রাহকরা

নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীর নাম যেমন রেজিস্টারে নথিভুক্ত থাকে ঠিক সেই রকমই রোগীর সঙ্গে আসা আত্মীয়-স্বজনদের নামও রেজিষ্টারে নথিভূক্ত থাকতে হবে। এক্ষেত্রে নতুন নিয়ম জারি করা হলে সিউড়ি সদর হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের প্রথমে রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করতে হবে এবং তারপর সই করে হাসপাতালে ঢুকতে হবে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা অনুসারে নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি রোগীর আত্মীয়দের রেজিস্টারের নাম নথিভুক্ত করে হাসপাতালে প্রবেশ করানো হলে নিরাপত্তা বেষ্টনী আরও জোরদার হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এর ফলে রোগীর সঙ্গে থাকা বা হাসপাতালে আসা আত্মীয়-স্বজনদের হিসেব থাকবে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছেও। এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা এর ফলে হাসপাতালের মধ্যে যে সকল নিরাপত্তাজনিত ফাঁকফোকর রয়েছে তা অনেকটাই দূর হবে। এছাড়াও হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisements