MLA Hospital Visit: ১ টাকা বেশি নেওয়ায় চাকরি গেল হাসপাতালের কর্মীর, রেফারের কারণ না লিখলেও ভুগতে হবে চিকিৎসকদের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি হাসপাতালে থাকা আউটডোরে মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়ার মানুষেরাই চিকিৎসার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের থেকে চিকিৎসার জন্য কোন কোন রাজ্যে ১ টাকা, আবার কোন কোন রাজ্যে ২ টাকা নেওয়া হয়। সেই রকমই একটি হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসার জন্য ১ টাকার বদলে ২ টাকা অর্থাৎ ১ টাকা বেশি নেওয়াই এক সরকারি কর্মচারীর চাকরি নিয়ে নিলেন বিধায়ক। হাসপাতাল পরিদর্শন (MLA Hospital Visit) করতে গিয়ে ওই বিধায়ক এমন ঘটনা দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেন।

Advertisements

এমন ঘটনাটি ঘটেছে যোগী রাজ্যে অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশে। উত্তরপ্রদেশের জগদৌরের এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হঠাৎ পরিদর্শনে যান এলাকার বিধায়ক প্রেম সাগর পটেল। তিনি ওই হাসপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে সামাজিক স্বাস্থ্য শিবিরে রোগীদের থেকে ১ টাকার বদলে ২ টাকা নেওয়া হচ্ছে এমনটা দেখতে পান। আর এরপরই ওই টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীর চাকরি ছিনিয়ে নেন তিনি। গরিবদের পেটে লাথ মেরে কোন ভাবেই এমন টাকা রোজগার করা যাবে না স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি।

Advertisements

বেশ কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় ওই বিধায়কের কাছে টাকা বেশি নেওয়া থেকে শুরু করে হাসপাতালের আরও বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ আসছিল। সেই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই আচমকা হাসপাতালে পরিদর্শন করতে যান ওই বিধায়ক এবং তারপরই তিনি হাতে নাতে বেশ কিছু বিনিয়ম ধরে ফেলেন। আর তারপর শুরু হয় সেই সকল বেনিয়মের সঙ্গে যুক্তদের ঘষা-মাজা। এমন ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়।

Advertisements

আরও পড়ুন : Suri Sadar Hospital: হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের আনাগোনায় নতুন নিয়ম, জারি হচ্ছে সিউড়ি সদরে

ওই বিধায়ক কেবলমাত্র রোগীদের থেকে টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়ে সরব হয়েছেন এমন নয়, এর পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ঘটনার তদারকি নিজেই করেন। হাসপাতালে বসে থাকা অবস্থায় তিনি এক সদ্য মা হওয়া এক মহিলার স্বামীকে ফোন করে কত টাকা পেয়েছেন তা জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে কোন টাকা এখনো পর্যন্ত পান নি বলেই জানান ওই মহিলার স্বামী। এরপর হাসপাতালের বড় আরও একটি অভিযোগের বিষয়ে তাকে হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায় আর সেই অভিযোগ হলো রেফার।

বিধায়ক প্রেম সাগর পটেল চিকিৎসকদের ধমক দিয়ে জানিয়ে দেন, কেবল রেফার লিখে দিয়ে রোগীদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করলে হবে না। যদি কোন রোগীকে রেফার করতে হয় তাহলে কেন রেফার করা হচ্ছে তার স্পষ্ট কারণ লিখতে হবে। রেফার করার কারণ হিসেবে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই, ওষুধ নেই নাকি অন্য কোন অসুবিধা লিখে তবেই রেফার করা যাবে। ওই বিধায়কের স্পষ্ট কথা, রোগীদের রেফার করে বেসরকারি নার্সিংহোমের পকেটে পয়সা তুলে দেওয়ার কাজ করা যাবে না।

Advertisements