নিজস্ব প্রতিবেদন : দেখে বোঝা মুশকিল তিনি একজন জেলাশাসক! রীতিমতো খরিদ্দার সেজে মদের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে কিনলেন মদ। আর তারপরেই যে পদক্ষেপ করলেন সেই পদক্ষেপে ওই জেলাশাসকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সূরাপ্রেমীরা। ঘটনাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠছে কেন এইভাবে জেলাশাসক মদের দোকানে ক্রেতা সেজে লাইনে দাঁড়াতে গেলেন?
আসলে যে মদের দোকানে এমন ঘটনা ঘটেছে সেই মদের দোকানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আসছিল। সেই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই জেলাশাসক এইভাবে ক্রেতা সেজে লাইনে দাঁড়িয়ে মদ কেনেন। এটি ছিল তার সারপ্রাইজ ভিজিট (DM Liquor Shop Surprise Visit)। আর এই ভিজিটের পর তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সূরাপ্রেমীরা।
দিন কয়েক আগেই সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে উত্তরপ্রদেশের এক বিধায়ক প্রেম সাগর পটেল হাসপাতালে ভিজিট করে এক টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগে এক সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করেন। একইভাবে ওই হাসপাতাল থেকে বারবার রোগীদের রেফার করার পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক কারণ জানানোর নির্দেশ দেন। ঠিক সেই রকমই এবার মদের দোকানের বিরুদ্ধে এমআরপির থেকে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে ওই জেলাশাসক এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : Online Liquor Delivery: পুজোয় বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন গোটা গোটা মদের বোতল! কামাল করছে এই ৪ অ্যাপ
এমআরপির থেকে বেশি দাম নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অসাধু ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে ধরার এমন ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে। সেখানকার জেলা শাসক ওল্ড মুসৌরি রোডের একটি মদের দোকানে এমন সারপ্রাইজ ভিজিট করেন। সেখানে তিনি প্রথমে পৌঁছান এবং নিজের পরিচয় গোপন রেখে অন্যান্য ক্রেতাদের থেকে জানতে পারেন এমআরপির থেকে ২০ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। এরপরই সোজা লাইনে দাঁড়িয়ে যান আর তারপর হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই অসাধু ব্যবসায়ীকে।
📍#Dehradun#DM Buys Liquor from a Contractor In Dehradun, #IAS officer Savin Bansal, the District Magistrate, received repeated complaints about overcharging at liquor stores. To uncover the truth, Bansal decided to investigate firsthand. Disguised as a regular customer, he… pic.twitter.com/UKQuVXb1ek
— Bureaucrats Media (@MBureaucrats) September 19, 2024
যে জেলাশাসক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি হলেন সাভিন বনশল। এমআরপির থেকে ২০ টাকা বেশি নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ওই দোকানদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে সমস্ত রকম কাগজপত্র দেখেন। কাগজপত্র এবং কর্মীদের পরিচয় পত্রের ক্ষেত্রেও নানান অসংগতি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৫০০০০ টাকা জরিমানা করা হয় ওই অসাধু ব্যবসায়ীকে। এই পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ওই জেলাশাসকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সূরাপ্রেমীরা।