Kolkata Metro: কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে মেট্রোর কাজ, বিভিন্ন নতুন রাস্তা তৈরি হচ্ছে আবার কোথাও কোথাও শুরু হয়ে গেছে ট্রায়াল। তবে শীর্ষ আদালত সম্প্রতি কলকাতা মেট্রো কাজ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) হল কলকাতাবাসীর কাছে যাতায়াতের এক অন্যতম মাধ্যম। গোটা শহর জুড়ে মেট্রোর কাজ দ্রুত গতিতে এগোনোর ফলে মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও অনেকটা সুবিধা হয়েছে। মেট্রোর সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরভিএনএল নামে একটি সংস্থা এই কাজ করে। মেট্রোর কাজ সম্প্রসারণের জন্য এই সংস্থাটি গাছ কাটার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। এই গাছ কাটার প্রসঙ্গে কি সিদ্ধান্ত দিল শীর্ষ আদালত?
ময়দান চত্বর সর্বদাই সবুজে ঘেরা থাকে, সকলের কাছে খুব পরিচিত চিত্র এটি। এই সবুজে হাত লাগানোর প্রসঙ্গ উঠতেই মেট্রোর কাজ (Kolkata Metro) নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। গাছ কাটার ক্ষেত্রেই এবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতার মেট্রোরে কাজ সম্প্রসারণ এর ক্ষেত্রে কোনরকমভাবে কাটা যাবে না গাছ।
আরো পড়ুন: ৩৫০ টাকায় বাস ভাড়া, দু’বেলা খাওয়া, NBSTC পুজোর জন্য আনল দুর্দান্ত প্যাকেজ
আরভিএনএলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কলকাতার মেট্রোর (Kolkata Metro) কাজ সম্প্রসারণের জন্য অর্থাৎ মোমিনপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোর কাজের জন্য ময়দান চত্বরে প্রায় ৭০০ গাছ কাটতে হতো। তবে গাছ কাটার ক্ষেত্রে যে অনুমতির প্রয়োজন তা নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে আগেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে-র বেঞ্চ মামলাটি শুনেছিল।
বিচারপতি এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ময়দানকে কলকাতা শহরের ফুসফুস বলে দাবি করেছেন। মেট্রোর কাজের জন্য গাছ কাটার সিদ্ধান্তে তিনি সত্যিই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই মামলায় পরবর্তীকালে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য মামলাটি পৌঁছায় শীর্ষ আদালতে। গত ২০ জুন সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।