নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে সুকন্যা জামিন পেয়েছিলেন দিন দশেক আগে, আর এবার জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই-ইডি সব মামলাতেই জামিন পেয়ে এবার তার বীরভূমে প্রত্যাবর্তনের পালা। আর তার এমন প্রত্যাবর্ত্যনে গোটা জেলা জুড়েই শুরু হয়েছে উৎসবের মেজাজ। কেউ মিষ্টি খাইয়ে, আবার কেউ আবির মাখিয়ে এমন খুশির মুহূর্ত পালন করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আর এসবকে ছাড়িয়ে এবার গোটা গ্রামের মানুষদের খাসির মাংস ভাত খাইয়ে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আনন্দ (Anubrata Mondal Bail Celebration) ভাগ করে নেওয়া হল।
এর আগে যখন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল জামিন পেয়েছিলেন তখন আনন্দে আটখানা হয়ে গোটা গ্রামের মানুষদের মুরগির মাংস, ভাত, চাটনি, মিষ্টি সহ ভুড়িভোজ করানো হয়েছিল। আর এবার অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামের প্রত্যেককে খাসির মাংস, ভাত সহ আরও বিভিন্ন পদ দিয়ে ভুরিভোজ করিয়েছেন। এখন রীতিমতো উৎসবের মেজাজ চলছে ওই গ্রামে।
গ্রামের মানুষদের অনুব্রত ও তার মেয়ের জামিনের পরিপ্রেক্ষিতে মাংস ভাতে ভুরিভোজ করানোর এমন ঘটনাটি ঘটেছে নানুরের থুপসরা অঞ্চলের আটকুলা গ্রামে। এই গ্রামের প্রায় ৪০০ বাসিন্দাদের পেট ভরে খাসির মাংস সহ ভুরিভোজ করানো হয় শুক্রবার রাতে। ভুরিভোজের পাশাপাশি গোটা গ্রাম মেতে উঠে খেলা হবে গানে। শুক্রবার রাতের খাওয়া দাওয়াই ভাত, খাসির মাংস ছাড়াও ছিল আলুর তরকারি, দই ও পাঁপড়।
আরও পড়ুন : শুধু নয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রেশন কেলেঙ্কারিতে অনুব্রতকে নিয়েও জোর জল্পনা
সুকন্যা মণ্ডল হোক অথবা অনুব্রত মণ্ডল, গরু পাচার কাণ্ডে জামিনের পর এইভাবে ভুরিভোজের আয়োজন কোন তৃণমূল নেতার উদ্যোগে করা হচ্ছে? যা জানা যাচ্ছে তাতে এমন আয়োজন করা হয় অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ আব্দুল কেরিম খান ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার উদ্যোগে। মূলত অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতাকর্মীদের রীতিমত কোণঠাসা হতে দেখা গিয়েছে। একই অবস্থা হতে দেখা গিয়েছে কেরিম খানেরও। তবে এই সকল কোণঠাসা হয়ে পড়া নেতারা এখন সুকন্যা ও অনুব্রত জামিনে নতুন করে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
সুকন্যা মন্ডলের জামিনের পর জামিনের দিনই রাত্রিবেলায় মুরগির মাংস, ভাতের পাশাপাশি রাখা হয়েছিল আলু পোস্ত, চাটনি। আর এবার যখন অনুব্রত মণ্ডল জামিন পেলেন সেই সময় এই আনন্দ আরও কয়েকগুণ হেরে যাওয়ায় একেবারে খাসির মাংসের আয়োজন করা হয়।