নিজস্ব প্রতিবেদন : টিকিট কনফার্মড হওয়া মানেই রিজার্ভেশন সিট পাকা হওয়া। অন্ততপক্ষে এমনটাই আমরা জেনে থাকি। কিন্তু টিকিট কনফার্মড হওয়ার পরেও যে সিট নাও মিলতে পারে এমন ঘটনাও ঘটতে দেখা গেল। এমন অদ্ভুত ঘটনা এবার ঘটতে দেখা গেল হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station)। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই এবার যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে।
অনেকেই রয়েছেন যারা পুজোর ছুটিতে বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে আগেভাগে টিকিট করে রেখেছেন। আগে থেকে টিকিট বুকিং করে রাখা অধিকাংশ যাত্রীদের টিকিট কনফার্মড হয়ে গিয়েছে। তারা এখন নিশ্চিন্ত তাদের সফর শুরু করার জন্য। তবে এবার হাওড়া স্টেশনে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেই ঘটনা কথা জানলে তারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন না। কেননা এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে তারাও কনফার্মড টিকিটে সিট নাও পেতে পারেন।
হাওড়া স্টেশনে হাওড়া-মালদা টাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। দেখা যায়, ১৮ জন যাত্রীর টিকিট কনফার্মড থাকলেও রেলের চার্টে তাদের নাম ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের নামে কোন সিটও ছিল না। একই রকম ভাবে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী D2 তে নিজের নামে সংরক্ষিত টিকিটের সিট পাননি। এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ওই সকল যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ে যান।
এমন ঘটনার পর তারা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে শুরু করেন। কোথাও কোনরকম সঠিক উত্তর না পেয়ে তারা হাওড়ার ডিআরএম অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডিআরএম অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর কেন তারা কনফার্মড টিকিট থাকা সত্ত্বেও সিট পাননি সেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। তবে যে কারণটি সামনে এসেছে সেই কারণের জন্য ওই সকল যাত্রীদের অকারণে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
রেলের তরফ থেকে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হয়, বিশেষ কারণে ১০৮ সিটের কামরার পরিবর্তে ৯০ সিটের কামরা দিয়ে ট্রেনটি চালানো হয়েছে। আর সেই কারণেই শেষের ১৮ জনকে সিট দিতে পারেনি রেল। কোচের এমন পরিবর্তনের ফলেই ৯১ থেকে ১০৮ পর্যন্ত যাদের সিট ছিল তারা তাদের সিট খুঁজে পাননি। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলের দিকেই আঙুল তুলেছেন যাত্রীরা। কেননা আর যে কনফার্মড টিকিট দেওয়া হচ্ছে না সেই বিষয়ে কিছু না জানিয়ে ঐ সকল যাত্রীদের ওয়েটিং লিস্টে ফেলে দেওয়া হয়।