Telecom Companies of India: সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলো বড় ধাক্কা খেলো দেশের শীর্ষ আদালতে। এয়ারটেল থেকে শুরু করে ভোডাফোনের মতো টেলিকম সংস্থাগুলি বিপুল অংকের জরিমানার সম্মুখীন হল। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে বুধবার টেলিকম সংস্থাগুলির অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ বা সামঞ্জস্যপূর্ণ মোট রাজস্ব পুনরায় গণনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
প্রথমেই আমাদের সহজ ভাষায় বুঝে নিতে হবে অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ আসলে কি? এটি হল টেলিকম সংস্থা ও সরকারের মধ্যে রাজস্বের হিসাব। প্রত্যেকটি টেলিকম সংস্থার (Telecom Companies of India) লাইসেন্স দেওয়া ও স্প্রেকট্রাম ব্যবহার জন্য সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয়। সরকারের এই শেয়ারের হিসাব রাখে টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রক। বহুদিন যাবত অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ এর হিসেব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেশের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলো দাবি করেছে যে, এই হিসাবে কোর রেভেনিউ-কে যোগ করা উচিত। ২০১৯ সালে যে মামলা হয়েছিল তাদের সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু সরকারের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, টেলিকম সংস্থাগুলিকে ৩ মাসের মধ্যে ৯২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে।
ভারতী এয়ারটেল, ভোডাফোন ইন্ডিয়া এছাড়াও যেসব অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলো (Telecom Companies of India) রয়েছে তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যেই মিটিয়ে দিতে হবে ৯২ হাজার কোটি টাকা। ২০২০ সালে টেলিকম সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয় যদি অ্যাডজাস্টেড গ্রস রেভেনিউ বা এজিআর ১০ বছর বা তার বেশি সময় বকেয়া থাকে, তাহলে প্রতি বছর ৩১ মার্চের পর সেই অর্থের পরিমাণের উপরে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হবে।
আরো পড়ুন: আদানি গ্রূপের নতুন পদক্ষেপ, তৈরি হবে ৭১ হাজার চাকরির সুযোগ
দেশের বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলো (Telecom Companies of India) কিন্তু এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল। সংস্থাগুলো দাবি করেছে যে, লাইসেন্স ফি ও স্প্রেকট্রাম চার্জের যেসব হিসাব সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে তাতে বড় কোনও ভুল করেছে টেলিকমিউনিকেশন দফতর। বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলো কোনভাবেই এই বিরাট অংকের টাকা দিতে পারবে না এবং দিতে গেলে তাদের সম্মুখীন হতে হবে আর্থিক সংকটের। তবে শীর্ষ আদালত টেলিকম সংস্থাগুলির পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে।
তথ্য মারফত জানা যাচ্ছে যে, টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রক এয়ারটেল-ভোডাফোন সহ একাধিক টেলিকম সংস্থাকে মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। এই বকেয়া টাকার পরিমাণ শুনলে অবাক হয়ে যেতে হবে। এয়ারটেলের বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৪৩,৯৮০ কোটি টাকা, ভোডাফোনের বকেয়া অর্থ হলো ৫৮ হাজার ২৫৪ টাকা। অবশ্য এর মধ্যে এয়ারটেল দাবি করেছে ১৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। একই সুরে ভোডাফোন সংস্থার বক্তব্য হল, তাদের মাত্র ২১ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা বাকি। এমনকি টেলিকম সংস্থাগুলো আদালতের বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমাণ জরিমানা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে।