Pointed Gourds: মারা গেছে বোঝাতে বলা হয় পটল তুলেছে, রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। পটল তুলেছে এই কথাটি প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি আমরা। মারা গেছে বোঝানোর জন্য প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয় পটল তুলেছে কথাটিকে। কিন্তু কেন? হঠাৎ একটা সব্জির সাথে মৃত্যুর কি সম্পর্ক হতে পারে? আর এত সব্জি থাকতে শুধুমাত্র পটলকেই (Pointed Gourds) বেছে নেওয়া হলো কেন? এর পিছনেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর রইলো আজকের প্রতিবেদনে।
পটল (Pointed Gourds) এক ধরনের সব্জি, যা অত্যন্ত পুষ্টিকর। তবে এই খাবারটি সবার কাছে সমানভাবে প্রিয় নয়। কেউ কেউ পটল ভাজা, পটলের তরকারি, আলু পটল দিয়ে হালকা ঝোল, পটলের দোড়মা, দই পটল ইত্যাদি খেতে খুব ভালোবাসেন। আবার কেউ পটল একেবারেই পছন্দ করেন না। একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই পটল স্বাদের দিক থেকেও বিচার করলে এর কোন তুলনাই হয় না। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো মানুষের মৃত্যুকে তুলনা করা হয় পটল তোলার সাথে। তবে তা কিন্তু এমনি এমনি করা হয় না। এই প্রবাদের পিছনেও রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
এমন পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সব্জিকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করার মতন বদনাম দেবার কারণ কি? আসলে পটল (Pointed Gourds) গাছের একটি বিশেষত্ব আছে। ফল দিচ্ছে এরকম কোন পটল গাছ থেকে যদি একসাথে সব কটি পটল তুলে ফেলা হয়, তাহলে সেই গাছটি মারা যায়। সবকটি পটল একসাথে তুলে ফেলার অর্থ সেই গাছটির প্রাণ কেড়ে নেওয়া। তাই গাছ থেকে পটল তোলার সময় কয়েকটা ফল গাছে রেখে তবে তুলতে হয়। এই কারণেই মানুষের মৃত্যুর সাথে পটল তোলাকে তুলনা করা হয়। বর্তমানে এটি একটি প্রবাদের মতন চলে আসছে সকলের মুখে মুখে।
আরো পড়ুন: নিমেষেই বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে সমুদ্রে তাও নিশ্চিন্তে আছে এই প্রৌঢ়
পটলের (Pointed Gourds) যতই বদনাম থাকুক না কেন, পুষ্টিগুণের দিক থেকে কিন্তু এই সব্জি অত্যন্ত উপকারী। পটলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। এই দুটি ভিটামিনের উপস্থিতির কারণে দৃষ্টিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে পটল। এছাড়া এই সব্জিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণও অনেক বেশি। অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কারণে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের শরীরে যে বলিরেখা আসে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। তাই এই সব্জিটিকে কোনভাবেই সাধারণ সব্জি ভেবে হেলাফেলা করা চলবে না।
পটল (Pointed Gourds) তোলা শব্দটিকে যতই মৃত্যুর সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা হোক না কেন, তাতে এই সব্জির পুষ্টিগুণ কোন অংশেই কমবে না। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের একাধিক খাবার খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তাদেরকে পটল নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পটল বেশ উপকারী। সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা সবকিছু সাড়াতেই কার্যকরী পটল। কিন্তু সঠিক ফল পেতে গেলে নিয়মিত পটল খাওয়া অভ্যাস করে ফেলতে হবে।