Larry Ellison: বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের কথা চিন্তা করলে প্রথমেই মাথায় আসে ইলন মাস্ক এবং জেফ বেজোসের কথা। কিন্তু আজকের প্রতিবেদন পড়লে জানতে পারবেন অ্যামাজন কর্তাকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিয়েছেন এই ব্যক্তি। কলেজের পড়াশোনা পারিবারিক কারণেই শেষ করা হয়নি। তারপরেও বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে আজকে তিনি প্রতিষ্ঠিত। তিনি আমেরিকার অন্যতম প্রযুক্তি সংস্থা ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন। আগে তিনি ক্যালিফোর্নিয়া থাকলেও বর্তমানে ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ২০২০ সালে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের লানাই নামের একটি দ্বীপের পাকাপাকি বাসিন্দা হয়েছেন। এই ব্যক্তি ২০১২ সালে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিনিময়ে দ্বীপটির মালিকানা হাতে পান।
ফোর্বস পত্রিকার সার্ভে অনুযায়ী বর্তমানে তিনি (Larry Ellison) পৃথিবীর সবথেকে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছেন। অবাক করা ঘটনা হলো তিনি নিমেষেই হারিয়ে দিয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জ়েফ বেজ়োসকে। অবশ্য এখনো তালিকার প্রথম স্থান দখল করে রয়েছে টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো ৮০ বছর বয়সি এই আমেরিকান ধনকুবের কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন অ্যাম্পেক্স কর্পোরেশনে একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসাবে। বর্তমানে তার সম্পত্তির পরিমাণ হলো ১৭ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু। ফোবর্সের তালিকায় নাম ওঠার আগে পর্যন্ত তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার কোটি টাকা।
হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়ে যায় ওরাকলেরর শেয়ার মূল্য এবং সেই কারণেই বেজোসকে টপকে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন তিনি (Larry Ellison)। বর্তমানে অ্যামাজন মালিকের সম্পত্তির পরিমাণ হলো ১৬ লক্ষ কোটি টাকার কাছাকাছি। শীর্ষে কিন্তু রয়েছেন মাস্ক। টেসলা, স্পেস এক্সের কর্ণধার মাস্কের মোট সম্পত্তির মূল্য ২১ লক্ষ কোটি টাকা। যদি তাকে টপকাতে পারেন তাহলেই দেরী হয়ে যাবেন বিশ্বের প্রথম ধনী ব্যক্তি।
২০২৬ সালে ওরাকলের আয় বৃদ্ধি পাবে অনেকাংশে যা সকলের প্রত্যাশার অনেক বেশি। এই খবরেই সংস্থার শেয়ারের দাম নিমেশের মধ্যে বৃদ্ধি পায় এবং মানুষ ২০ শতাংশ লাভের মুখ দেখে। সংবাদমাধ্যম এই সফলতার জন্য দায়ী করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাফল্যকে। গত সপ্তাহে ওরাকল জানায়, ছোট আকারের, সহজে স্থানান্তরযোগ্য ও সাশ্রয়ী খরচে ডেটা সেন্টার নির্মাণ করছে তারা।
আজকের এই ধনী ব্যক্তি (Larry Ellison) ১৯৬২ সালে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন তবে ১৯৬৪ সালে তাঁর মাসি মারা যান। তিনি তাকে ছোটবেলা থেকে লালনপালন করেছিলেন। ল্যারির কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় এর মৃত্যুর পর থেকেই। পরে ১৯৬৬ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। ১৯৭৭ সালে ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন এলিসন। সম্প্রতি তার হাতে ওরাকলের ৪০ শতাংশের মালিকানা রয়েছে।
আরো পড়ুন: টাকা-পয়সায় হাসিনা এনার কাছে নস্যি, এই ব্যক্তিই এখন বাংলাদেশের সবথেকে ধনী ব্যক্তি
২০১৮ সালে তিনি (Larry Ellison) যোগদান করেছিলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলায় পরিচালক হিসাবে। অবশ্য সেই পদ তিনি ২০২২ সালে ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি সংস্থার প্রায় দেড় কোটি শেয়ারের মালিক। এলিসন ৩৭ বছর ধরে ওরাকলের সিইও ছিলেন। ২০১৪ সালে সেখান থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি। ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গ হলেন ফোর্বস পত্রিকার বিচারে বিশ্বের চতুর্থ ধনী। ফ্যাশন সংস্থা লুই ভিত্তোঁর কর্ণধার বার্নার্ড আর্নল্ট পঞ্চম ধনকুবের।
ফোর্বস এর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার ওয়ারেন বাফেট। মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং অতীতের ধনীতম শিল্পপতি বিল গেটস সপ্তম ধনকুবের। অষ্টম স্থানে রয়েছেন ল্যারি পেজ, নবম স্থানে ইন্ডিটেক্স ফ্যাশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যামান্সিও ওর্তেগা এবং দশম স্থানে সের্গেই ব্রিন।