Bike Self Start: বর্তমানে দেশের বাইকের চাহিদা অনেকটাই বেশি, ভারতে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির বাইক লক্ষ্য করা যায়। আজকাল বাইকারোহীদের মধ্যে দেখা যায় সেল্ফ স্টার্ট দেবার প্রবণতা। বাইক চালানোর অভিজ্ঞতাকে আরো বেশি সুবিধাজনক করে তুলেছে এই সেলস স্টার্ট দেবার প্রযুক্তি। তবে সেলফ স্টার্ট দেওয়ার প্রযুক্তি বাইকের ইঞ্জিনের ক্ষতি করছে কিনা সে বিষয়টা ভেবে নেওয়া দরকার।
কথাটির সত্যতা যাচাই করে নেব আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে। সেল্ফ স্টার্ট (Bike Self Start) দিলে আদৌ ইঞ্জিনের ক্ষতি হবে কিনা বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বাইকের ব্যাটারির অবস্থার ওপর। যদি বাইকটিকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় তাহলে এটি নিরাপদ থাকবে। দীর্ঘ সময় ধরে, যে বাইক পার্ক করা থাকবে তাতে ব্যাটারি ডিসচার্জ লক্ষ্য করা যায়। এর জন্য কোনভাবেই প্রযুক্তিগত দোষ দায়ী নয়। সেলফ স্টার্ট পদ্ধতির মাধ্যমে যদি আপনি আপনার বাইক চালু করতে চান, এটি একটি সুবিধাজনক এবং নিরাপদ প্রক্রিয়া।
বাইকের ইগনিশন সিস্টেম কোনপ্রকার চাপ ছাড়াই সক্রিয় হয়ে যায়, যার ফলে ইঞ্জিন চালু করতে সুবিধা হয়। বাইকের ইঞ্জিন দ্রুত চালু হয়। জ্বালানি খরচ কম হয় এবং পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ কম হয়। আসলে এই সেল্ফ স্টার্ট পদ্ধতি (Bike Self Start) বাইক চালানোর প্রক্রিয়াকে আরো বেশি আরামদায়ক করে তুলেছে তাই এতে ইঞ্জিনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা হয়তো অনেকটাই কম।
আরো পড়ুন: লঞ্চ হলো টিভিএস অ্যাপাচের রেসিং এডিশন, জানেন এর দাম কত
বাইকাররা কোন প্রকার অসুবিধা ছাড়াই খুব সহজেই বাইক চালু করতে পারবে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এটি বাইক চালকদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি প্রক্রিয়া। বর্তমানে বেশিরভাগ বাইক চালক এই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। যেকোনো বাইকের নিয়মিত মেইন্টেনেনস এবং টেকনিক্যাল সার্ভিস এর প্রয়োজন। যদি তা না করা হয় তাহলে তার মধ্যে সমস্যা দেখা দেবে সেটাই স্বাভাবিক।
যারা বাইক চালান তারা নিয়মিত বাইকের ব্যাটারি সম্পর্কে খেয়াল রাখবেন। ব্যাটারির যাতে কোন প্রকার ক্ষতি না হয়। যদি বাইকের ব্যাটারিতে কোন প্রকার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সঠিক সময় মতো তা ঠিক করতে হবে। সঠিকভাবে বাইক ব্যবহার করলে এবং সেল্ফ স্টার্ট (Bike Self Start) দিলে বাইকের ইঞ্জিনের আয়ু বাড়বে। প্রয়োজন মত বাইকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সার্ভিসিং করতে হবে। এটি ইঞ্জিনের কোন প্রকার ক্ষতি করে না। সুতরাং বলা যেতে পারে এই পদ্ধতিটি হল একটি সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক পদ্ধতি।