নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে বৃষ্টির পর এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বর্ষা বিদায়ের পালা শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বর্ষা বিদায়ের পালা শুরু হয়েছে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকেই। ২৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিম রাজস্থান থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা (Monsoon Farewell Update)। আর এরপর ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বর্ষা বিদায় শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হল পশ্চিমবঙ্গ থেকে কবে বর্ষা বিদায় নেবে?
পশ্চিম রাজস্থান থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর বর্ষা বিদায় নেওয়ার পর ধীরে ধীরে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলি থেকেও বর্ষা বিদায় নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আর এবার বর্ষা বিদায়ের পালা শুরু হয়েছে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও।
আগামী অক্টোবর মাসে দেশের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। যে দুর্গাপুজোকে ঘিরে আপামর বাঙালিরা নিজেদের মতো করে আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে এসবের মধ্যেই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। কেননা আবহাওয়া দপ্তর পুজোর সময় বৃষ্টি হবে বলেই জানাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেই বর্ষা বিদায় নেওয়ার প্রসঙ্গ উঠছে বাঙ্গালীদের মুখে মুখে।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে যা জানানো হয়েছে তাতে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়া শুরু করে দিলেও কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখনই বর্ষা বিদায় নিচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। আর সেই সময় দুর্গাপুজো পার করে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি লগ্ন পর্যন্ত চলবে। অর্থাৎ অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে বর্ষা।
আরও পড়ুন : Unknown Facts: জেনে নিন খাসি এবং পাঁঠার মধ্যে আসল পার্থক্য কি
এদিকে দুর্গাপুজোর সময় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও অবশ্য সম্প্রতি আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মুষলধারে অর্থাৎ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে। এক্ষেত্রে বৃষ্টিতে পুজোর আনন্দ মাটি হয়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল সেই আশঙ্কা থেকে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। কেননা ভারী বৃষ্টি না হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দ মাটি হবে না বলেই আশা করা যায়।
আপাতত আবহাওয়া দপ্তরের যা পূর্বাভাস তাতে, আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে এবং আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বৃদ্ধি পাবে। এরপর আবার বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই রকম পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কেননা দিন কয়েকের বৃষ্টির পর উত্তরবঙ্গে যেভাবে তাপমাত্রার পারদ নিয়েছিল তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। বাতাসে জলীয়বাষ্প থাকার ফলে বৃষ্টি না হলেও কিছুটা হলেও অস্বস্তি বৃদ্ধি পাবে।