North Bengal Tourism: পুজোয় ঘুরতে যাবার জায়গা খুঁজছেন, ঘুরে আসতে পারেন উত্তর বঙ্গের এই জায়গাগুলি থেকে। পুজো প্রায় চলেই এসেছে। এই সময় বেশ কয়েকদিনের ছুটি পাওয়া যায়। অনেকেই এই সময় ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন এদিক ওদিক। চেনা পরিচিত জায়গা ছেড়ে একটু অজানা অচেনা জায়গার খোঁজে। আপনিও কি এবার পূজার ছুটি কাটাতে নতুন কোন জায়গার খোঁজ করছেন? তাহলে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের এই পর্যটন কেন্দ্রগুলি (North Bengal Tourism) থেকে। উত্তরবঙ্গের সেরা চারটি পর্যটন কেন্দ্রের খোঁজ রইল আজকের প্রতিবেদনে।
বিদ্যাং
উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র (North Bengal Tourism)। যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন তাদের কাছে এই জায়গা স্বর্গের সমান। প্রকৃতি যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে এই জায়গাটির উপরেই। একদিকে নদী বয়ে চলেছে নিজের খেয়ালে, অপরদিকে যতদূর চোখ যাবে দেখবেন শুধুই নানা রকম গাছের সারি। ওক, পাইন, ফার, দেবদারু আরো কত কি? সব সময় চারিদিকটা যেন কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে। এই সমস্ত কিছু উপভোগ করার পাশাপাশি এখানকার মানুষ জন আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখানকার মানুষের সরল, অতিথিবৎসল মনোভাব আপনাকে অবশ্যই মুগ্ধ করবে।
সিলারি গাঁও
উত্তরবঙ্গের এই পাহাড়ে ঘেরা জায়গাটিও (North Bengal Tourism) পর্যটক টানতে সক্ষম। এই এলাকার মূল আকর্ষণ কাঞ্চনজঙ্ঘা। পাশাপাশি রয়েছে আরও একাধিক পর্বত চূড়ার সমাগম। বছরের বেশিরভাগ সময়ই এই চূড়াগুলি সম্পূর্ণ বরফাবৃত হয়ে থাকে। এই গ্রামের জনসংখ্যা একেবারে সীমিত। মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টি পরিবার বসবাস করেন এখানে। আপনি চাইলে নিউ জলপাইগুড়ি নেবে সেখান থেকে গাড়ি করে চলে আসতে পারে সিলারি গাঁও। সময় লাগতে পারে সাড়ে চার ঘণ্টার কাছাকাছি।
আরো পড়ুন: কম বাজেটে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা খুঁজছেন, রইল নতুন জায়গার খোঁজ
তাবাকোশি
এই গ্রামটির মূল আকর্ষণ কমলালেবুর গাছ। চারিদিকে কমলালেবুর গাছ আর চা বাগানে ঘেরা একটি পাহাড়ি গ্রাম হল তাবাকোশি। শান্ত সুন্দর পাহাড়ি গ্রামের মজা নিতে চাইলে এই জায়গাটি থেকে অবশ্যই ঘুরে যেতে পারেন। এই গ্রামে বিভিন্ন অজানা পাখির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক পরিবেশ, পাখির কলতান এবং সরল, সাদাসিধে পাহাড়ি মানুষের মন খোলা আপ্যায়ন। সবকিছু মিলে তাবাকোশি ছুটি কাটানোর সেরা ঠিকানা (North Bengal Tourism) হয়ে উঠতে পারে অনায়াসে।
গুলমা
এই জায়গাটি উত্তরবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র (North Bengal Tourism)। প্রাকৃতিক পরিবেশের এক অভিনব মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যায় এখানে। একদিকে মহানন্দার অভয়ারণ্য, অপরদিকেই রয়েছে গুলমার ছোট্ট রেল স্টেশন। মাঝখান থেকে নিজের খেয়ালে বয়ে চলেছে মহানন্দা এবং গুলমাখোলা নদীটি। আর কিছুটা দূরেই দেখতে পাওয়া যাবে একাধিক পাহাড়ের চূড়া। পাহাড় জঙ্গল আর জলের এক অভিনব মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যায়। এই অভয়ারণ্যে এখনো চিতা বাঘের দেখা মেলে। রয়েছে বন্য হাতীও। একাধিক বন্য জন্তু ছাড়াও বেশ কিছু পরিযায়ী পাখিরও দর্শন পেতে পারেন এই জঙ্গলে।