Howrah Division: ভারতীয় রেল বরাবর যাত্রীদের উন্নত পরিষেবা এবং নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। ভারতের পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো এটি এবং পৃথিবীর চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে ভারতীয় রেল। শিরা-উপশিরার মত সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছে। আগের থেকে নিজেকে আরো বেশি উন্নতভাবে সাজিয়ে তুলেছে ভারতীয় রেল। যাত্রীদের পরিষেবা এবং যাত্রার দিকেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ দমনেও তারা যথেষ্ট তৎপর। এরকমই একটি কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে হাওড়া ডিভিশন।
এই ভারতীয় রেলের হাওড়া ডিভিশন (Howrah Division) তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। অপরাধ দমনে ও স্মাগলিংয়ের একাধিক কেস সলভ করেছে হাওড়া ডিভিশনের টিম আরপিএফ। এদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সিনিয়র ডিএসসি রঘুবীর চোখা। তার এই বীরত্বের জন্য তাকে অবশেষে পুরস্কৃত করা হলো।
গোটা দেশকে অবাক করে হাওড়া ডিভিশন (Howrah Division) ছিনিয়ে নিল অপরাধ দমনে ও স্মাগলিং রুখতের ভারতীয় রেলের শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান। সত্যিই কুর্নিশ জানাতে হয় সিনিয়র ডিএসসি রঘুবীরকে। পারফর্মিং অফিসার সিনিয়র ডিভিশন্যাল সিকিউরিটি কমিশনার (কর্ড) ফিসি ক্যাসকেডের দেওয়া ২০২৩-২৪ বর্ষের বেস্ট পারফর্মিং অফিসারের এই সম্মান পেলেন তিনি।
আরো পড়ুন: ভারতীয় রেলে নিয়োগ করা ৫০০০ বেশি শিক্ষানবিশ, আবেদন করতে পারবে দশম উত্তীর্ণরা
ভারতীয় রেলের হাওড়া ডিভিশনের (Howrah Division) এই কর্মকাণ্ড সত্যিই সম্মানের। অপরাধ দমন ও স্মাগলিং রুখতে সহযোগিতার জন্য ‘অ্যান্টি-কাউন্টারফেটিং অ্যান্ড অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়েছে তাকে। মানুষের নিরাপত্তা এরফলে আরো বেশি শক্তিশালী হলো।
হাওড়ার আরপিএফ ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট ৮৩ জন স্মাগলারকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও তারা আটক করেছে প্রায় ২ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকার সোনা এবং ৭৬ লক্ষ টাকার রুপো। সাথে ছিল সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকার গাঁজা, দশ লক্ষ টাকার চোলাই মদ, বত্রিশ লক্ষ টাকার বিদেশি সিগারেট, এক কোটি টাকার তামাকজাত দ্রব্য এবং পাঁচ লক্ষ টাকার বেআইনি কাফ সিরাপ। শুধু এইখানেই শেষ নয় এছাড়াও এই আরপিএফ এর দলটি নারী ও শিশু পাচারের মতো একাধিক অপরাধ রুখে দিয়েছে। হাওড়া ডিভিশনের (Howrah Division) অফিসারকে এই অভাবনীয় কাজের জন্যই সম্মান জানানো হয়েছে।