Crisis of fuel: পুজোয় হতে পারে জ্বালানি সংকট, পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ প্রায় ২০ দিন

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Crisis of fuel: সামনেই আসন্ন দুর্গোৎসব আর এরমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হতে চলেছে জ্বালানি সংকট। মাত্র ১৫০ লিটার তেলের বরাদ্দ নিয়ে বিবাদ ট্রাক মালিক ও চালকদের। রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস বটলিং সংস্থার ট্রাক চালকদের দাবি কিলোমিটার প্রতি বাড়াতে হবে তেলের বরাদ্দ। সেই কারণে ট্রাক বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করছে চালকেরা। আজকের প্রতিবেদনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

Advertisements

পরিবহন প্রায় কুড়ি দিন ধরে বন্ধ এই বিবাদের জন্য। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুজোর মুখে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় (Crisis of fuel) জ্বালানি গ্যাসের টান ধরেছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ইতিমধ্যেই চেষ্টা করছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন। এরমাঝে বিরোধীদল বিজেপি মন্তব্য করেছে যে, শাসক দল শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ এবং তারা নিজেদের মধ্যেই ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত।

Advertisements

২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে ১০ বছরের জন্য ট্রাকের মাধ্যমে জ্বালানি গ্যাস পরিবহণের চুক্তি হয় চালকদের সঙ্গে। ইন্ডিয়ান অয়েল বটলিং প্লান্ট অবস্থিত দুর্গাপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লেনিন সরণিতে। এইখান থেকে প্লান্টে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহের জন্য রয়েছে বহু গ্যাস ট্যাঙ্কার-সহ ২৫০ টি ট্রাক। চুক্তি অনুযায়ী এক লিটার ডিজেল পিছু ৩.৬৫০ কিলোমিটার বরাদ্দ করা হয়। ট্রাক চালকেরা বেশ কয়েকমাস ধরে দাবি করছিল, লিটার পিছু ৩.৫ মিটারের জন্যে জ্বালানির টাকা দিতে হবে। চালকদের দাবি কোনভাবেই মানতে নারাজ ট্রাক মালিকরা এবং সেই কারণেই ৩৩টি গ্যাস ট্যাঙ্কার পরিবহণ বন্ধ করে দেন চালকরা। পুজোর আগে জ্বালানির সংকট (Crisis of fuel) দেখা দিলে তা বিরাট আকারের সমস্যা সৃষ্টি করবে।

Advertisements

আরো পড়ুন: বাইকে আর নিয়ে যাওয়া যাবে না বড় বড় ব্যাগ, পুরো নিয়ম বদলে দিল সরকার

ট্রাক মালিক তপন কুমার সাহার দাবি করেছেন যে, তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন সভাপতি চুক্তি হওয়ার সময় সেই চুক্তিপত্রের স্বাক্ষর করেছিলেন। পরিষেবার ক্ষেত্রে এক বছর ধরে কোনরকম সমস্যা দেখা দেয়নি কিন্তু হঠাৎ করে ট্রাক চালকরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জ্বালানি গ্যাস সরবরাহের সমস্যা (Crisis of fuel) দেখা দিয়েছে। আখেরে ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিকে বিষয়টি জানানোর পরেও তিনি কোনোরকম ব্যবস্থা নেননি। ট্রাক চালক সুমিত লায়েক এই বিষয়ে বলেছেন, চুক্তি হয়েছে একথা সত্যি কিন্তু ট্রাকে বেশি গ্যাস সিলিন্ডার চাপানোর জন্য ট্রাকের যান্ত্রিক গোলযোগ হচ্ছে। সেই কারণে তেলের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করা হচ্ছে। দাবি না মানলে কোনভাবেই ট্রাক চালানো সম্ভব নয়।

জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় শাসকদলকে কটাক্ষ করে বলেছেন যে, এই বিষয়টি নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ট্রাক চালকদের প্রতিবাদ করাকে উপেক্ষা করা যায় না। কিন্তু শ্রমিক সংগঠন শ্রমিকদের সমস্যা দূর করতে একেবারেই অক্ষম। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ৩ নম্বর ব্লক সভাপতি কল্লোল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড যারা সৃষ্টি করেছে তাদের উপর কড়া নজর দেওয়া হবে। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতিও বিষয়টি দেখছেন। সমস্যার সমাধান যাতে দ্রুত হয় সেই দিকেই নজর রাখতে হবে।

Advertisements