Indian Railway Project: রাজ্যে রেল প্রকল্পের দেরি হবার অন্যতম কারণ হলো জমি অধিগ্রহণ, কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Indian Railway Project: বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রায় ৬০ হাজার কোটির রেল প্রকল্প। কেন্দ্রীয় তরফ থেকে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা। তবে রেলের কাজ এখনো পর্যন্ত সেভাবে এগোয়নি এই রাজ্যে এবং যার অন্যতম কারণ হলো জমি অধিগ্রহণের সমস্যা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা নিয়ে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

Advertisements

জমি নিয়ে সমস্যার জন্যই এগোচ্ছে না এই রাজ্যের রেলের কাজ (Indian Railway Project) । কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে, তিনি আরো বলেছেন এই বিষয়ে রাজনীতি করছে এই রাজ্যের বিরোধীরা। রেলমন্ত্রী আবেদন জানান যে অন্তত সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে বিরোধীদের রাজনীতি করা এই মুহূর্তে একদমই উচিত নয়।

Advertisements

রেলের কাজের (Indian Railway Project) জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে সেটির সম্পূর্ণ দায়িত্ব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই বিষয় কেন্দ্র কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। তাই রাজ্য সরকার যত তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করবে তত তাড়াতাড়ি এগিয়ে যাবে রাজ্যে রেলের বিভিন্ন প্রকল্প। রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণ করে তুলে দিতে হবে কেন্দ্রের হাতে। অশ্বিনী বৈষ্ণবের মতে অর্থনৈতিক দিক থেকে কোন রকম সমস্যা হবে না এই বিষয়ে। বাংলার ক্ষেত্রে রেল একই নীতি নিয়ে চলছে বলে জানান তিনি। বাংলার ১০০টি স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই কাজও আটকে রয়েছে এই সমস্যার কারণে।

Advertisements

আরো পড়ুন: রাস্তা কমল উত্তরবঙ্গের, মহালয়ায় রেলের বড় উপহার বঙ্গবাসীদের

সংসদে গত বুধবার রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে নানারকম প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতীয় রেলকে। পরপর হয়ে যাওয়া রেল দুর্ঘটনা এর জন্য দায়ী। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, মানুষের প্রাণের বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে হবে না কোনরকম রাজনীতি এমনটাই বলেছেন রেলমন্ত্রী। যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি আরো গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হবে। তবে বিরোধীদের তরফে রেল সুরক্ষায় কর্মীর অভাব বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও দাবি করেন যে, ইউপিএ সরকারের আমলে যে পরিমাণ রেল কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল তার থেকে অনেক বেশি নিয়োগ করা হয়েছে এনডিএ সরকারের মেয়াদে।

পাশাপাশি বিতর্ক শুরু হয়েছে পিঙ্ক বুক প্রকাশ করা নিয়ে। এই পুস্তিকায় উল্লেখ করা থাকে কোন রাজ্যের জন্য কত বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় রেলের পক্ষ থেকে। বিতর্ক যেন কোনভাবেই পিছন ছাড়ছে না ভারতীয় রেলের(Indian Railway Project)। চলতি বছরের বাজেট পেশ হওয়ার একদিন পরেও রেলমন্ত্রক এই পুস্তিকা প্রকাশ না করায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছে বিরোধীরা। যদিও রেলের দাবি, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হয়েছিল তখন একদফা পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। তার মেয়াদ আগস্ট পর্যন্ত।

Advertisements