New Rules: নিয়মে পরিবর্তন এসেছে স্টক মার্কেটে, ১ লা অক্টোবর ২০২৪ থেকে চালু হচ্ছে নতুন নিয়ম। বর্তমানে বিনিয়োগের জন্য অনেকেই বেছে নিচ্ছেন শেয়ার বাজারকে। বেশি রিটার্ন পাবার সুযোগ থাকে এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে। যদিও বিষয়টা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ, তবুও বেশি রিটার্ন পাবার আশায় অনেকেই বিনিয়োগ করছেন শেয়ারে। ১ লা অক্টোবর থেকে স্টক মার্কেটের নিয়মে আসছে তিনটি বড় পরিবর্তন। যারা শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন তাদেরকেও মেনে চলতে হবে এই তিনটি নিয়ম (New Rules)। তাই সকলেরই এই নিয়মগুলি জেনে রাখা দরকার।
দেশে কয়েকটি স্টক এক্সচেঞ্জ রয়েছে। সারা দেশের মধ্যে যতগুলি সংস্থা তাদের শেয়ার কেনাবেচা করে তা করতে হয় এই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে। ভারতের সবথেকে বড় দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ হল বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ। শেয়ার কেনা বেচার জন্য প্রথমে বিভিন্ন সংস্থাকে নাম নথিভুক্ত করতে হয় এই স্টক এক্সচেঞ্জে। তারপর এই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমেই চলে শেয়ার কেনা বেচার কাজ। এর জন্য কিছু চার্জ দিতে হয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলিকে। এই নিয়মের (New Rules) ক্ষেত্রেই বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই সমস্ত পরিবর্তনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নতুন নিয়ম (New Rules) অনুযায়ী, বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ইকুইটি ভেরিভেটিভ সেগমেন্টে প্রিমিয়াম টার্ন ওভারের ক্ষেত্রে প্রতি ১ কোটিতে ৩২৫০ টাকা ট্রানজাকশন ফি দিতে হবে সংস্থাকে। তবে অন্যান্য ইকুইটি ট্রানজেকশনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে কোনরকম পরিবর্তন করা হয়নি। নুন্যতম ১ কোটির টার্ন ওভারের ক্ষেত্রেই পরিবর্তিত হলো নিয়ম। ১ লা অক্টোবর ২০২৪ থেকে সেনসেক্স ৫০ এ প্রিমিয়াম টার্ন ওভারের জন্য ট্রানজাকশন চার্জ দিতে হবে প্রতি কোটিতে ৫০০ টাকা করে।
আরো পড়ুন: সর্বোচ্চ কত টাকা জমা দেওয়া যেতে পারে এটিএম এর মাধ্যমে, আসুন জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে নিয়মটা আবার আলাদা। নতুন নিয়ম (New Rules) অনুযায়ী, এখন থেকে ক্যাশ মার্কেটে ১ লক্ষ টাকা ক্রেডিট ভ্যালুতে ২.৯৭ টাকা ট্রানজেকশন ফি দিতে হবে। ইক্যুইটির ক্ষেত্রে প্রতি ১ লক্ষ ক্রেডিট ভ্যালুতে ট্রানসাকশন ফি থাকবে ১.৭৩ টাকা। আবার ইক্যুইটি প্রিমিয়াম ভ্যালুর ক্ষেত্রে ট্রানজেকশন ফি দিতে হবে প্রতি লক্ষ টাকায় ৩৫.০৩ টাকা। ট্রানজেকশন ফি এর পাশাপাশি বাড়বে সিকিউরিটি ট্রানজাকশন ট্যাক্সও।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ফিউচার ও অপশনস ট্রেডিং এ ট্যাক্সের পরিমাণ ০.০১২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ০.০২ শতাংশ হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই সেবির রেভিনিউতেও কিছুটা প্রভাব পড়বে বর্ধিত ট্যাক্সের। বদল হবে বাইব্যাক ট্যাক্সেশনের নিয়মেও। শেয়ার বাইব্যাকের মাধ্যমে যা রোজগার হবে তা ডিভিডেন্ড হিসেবে গণ্য করা হবে। তার উপরে যা ট্যাক্স ধার্য করা হবে সেটাও দিতে হবে। ১ লা অক্টোবর ২০১৪ অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে এই সমস্ত নতুন নিয়মাবলি (New Rules) মেনেই কাজ হবে স্টক মার্কেটে।