Howrah-Kolkata Ferry Service: পুজোর রাতে হাওড়া-কলকাতা ফেরি সার্ভিস, ঠাকুর দর্শনের নতুন রুট, যানজটের আতঙ্ক থেকে মুক্তি

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Howrah-Kolkata Ferry Service: দুর্গাপুজোর সময় কলকাতা যেন এক মহামেলায় পরিণত হয়। সারাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী শহরের রাস্তায় সমবেত হন ঠাকুর দর্শনের জন্য। কিন্তু এই ভিড়ের সঙ্গে আসে যানজটের যন্ত্রণা, যা দর্শকদের পুজোর আনন্দকে কিছুটা ম্লান করে দেয়। তবে, এবার সেই সমস্যার সমাধানে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি নিয়ে এসেছে একটি আকর্ষণীয় খবর! পুজোর সময় হাওড়া থেকে কলকাতা পর্যন্ত চালু হতে চলেছে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস (Howrah-Kolkata Ferry Service), যা দর্শনার্থীদের জন্য এক নতুন রুট খুলে দেবে।

Advertisements

নতুন এই লঞ্চ সার্ভিসটি (Howrah-Kolkata Ferry Service) ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবং দর্শকদের জন্য রাতের বেলাতেও উপলব্ধ থাকবে। অর্থাৎ, রাতের কলকাতা শহরে ঠাকুর দর্শন করতে যাওয়ার জন্য আর রাস্তায় আটকে থাকতে হবে না। সামান্য ১৫ মিনিট অন্তর লঞ্চ ছাড়বে হাওড়া ফেরিঘাট থেকে, যা দর্শকদেরকে সহজেই বাগবাজার, শোভাবাজার, এবং আহিরিটোলায় পৌঁছে দেবে। এই সুবিধার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা হাঁটাপথে তাদের পছন্দের মণ্ডপগুলোতে যেতে পারবেন এবং সারা রাত ঠাকুর দর্শনে মগ্ন থাকতে পারবেন।

Advertisements

প্রতিবছর, দুর্গাপুজোর চারদিনে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন দক্ষিণবঙ্গের গ্রাম-মফস্সল থেকে কলকাতায়। এই ভিড় সামাল দিতে, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন প্রতি বছর অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালায়। কিন্তু, হাওড়া স্টেশনে এসে যানজটের মুখোমুখি হতে হয়, যা অনেকের পুজোর আনন্দে ভাটা ফেলে। নতুন লঞ্চ সার্ভিসের মাধ্যমে এবার সেই সমস্যার সমাধান মিলবে, যা সহজেই দর্শকদের কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুরের দর্শনে পৌঁছে দেবে।

Advertisements

আরো পড়ুন: পুজোর আগে চমক, শিলিগুড়ি-কলকাতা রুটে নতুন এসি বাস পরিষেবা, আছে পুজো পরিক্রমারও সুব্যবস্থা

সমিতির চেয়ারম্যান রাইচরণ মান্না জানিয়েছেন সাধারণত এই সার্ভিস (Howrah-Kolkata Ferry Service) সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলে। তবে, পুজোর এই বিশেষ সময়ে দর্শকদের সুবিধার্থে তারা এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, লঞ্চ সার্ভিস চালাতে তারা যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যাতে যাত্রীরা স্বস্তিতে ভ্রমণ করতে পারেন। এছাড়া, লঞ্চ ঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য পুলিশ এবং জলসাথী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি এড়াতে হাওড়া ফেরিঘাটের আলাদা জেটিতে যাত্রী তোলা ও নামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে, বিভিন্ন ঘাটে মাইকিং ও ফ্লেক্স টাঙানোর মাধ্যমে যাত্রীদের সচেতন করা হবে।

এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত দর্শকদের একজন, রাজ্য সরকারি কর্মী সুজয় বিশ্বাস বলেন এবার যানজট নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। লঞ্চে চেপে কলকাতায় পৌঁছাবেন। অন্য একজন যাত্রী মমতা সান্যাল বলেন এবার আমি দ্রুত এবং সহজে ঠাকুর দেখতে পারবেন, এটাই তার সবচেয়ে ভালো লাগছে।

Advertisements