Heavy Storm: সম্প্রতি বন্যার প্রকোপ থেকে সামলে ওঠার পর অন্ধ্রপ্রদেশ সহ উপকূলবর্তী রাজ্যগুলো আবারও প্রকৃতির বিধ্বংসী রোষের সামনে দাঁড়িয়ে। এবার বঙ্গোপসাগরে গঠিত হতে চলেছে দুটি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ( Heavy Storm), যা একসঙ্গে আছড়ে পড়বে উপকূলের বুকে। মৌসম ভবনের সতর্কবার্তা অনুসারে, এই ঘূর্ণিঝড়গুলি বিশাল শক্তি নিয়ে আসবে, যার প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি সহ উপকূল অঞ্চলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে জোড়া আঘাত
মৌসম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে দুটি এবং আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড়ের (Heavy Storm) সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়গুলি সরাসরি আঘাত হানতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। বৃষ্টির দাপটে অন্ধ্রের বিভিন্ন নিচু এলাকায় জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে। ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে প্রবল বর্ষণ, যা টানা তিন দিন ধরে চলতে পারে।
সমুদ্রতীরে ঝড়ের তাণ্ডবের আশঙ্কা
ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল শক্তি মৎস্যজীবীদের জন্য বিশেষ বিপদ ডেকে আনতে পারে। সমুদ্রের ঢেউ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি তৈরি করবে। ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে, মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। স্থানীয় প্রশাসন জলবন্দি এলাকায় উদ্ধারকারী দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
পূজার আনন্দে জল, ভয়াবহ ঝড়ের আগমন
এ বছর পুজোর সময় উপকূলীয় রাজ্যগুলির মানুষকে আনন্দের পরিবর্তে আতঙ্কে কাটাতে হতে পারে। পূজার মাঝেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়গুলি আঘাত হানলে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুতেও এর প্রবল প্রভাব পড়বে। কল্পনাতীত বৃষ্টিপাত, সঙ্গে ঝড়ের তাণ্ডব পূজার মেঘমালা হয়ে উঠতে পারে।
আরো পড়ুন: পুজোয় হতে পারে জ্বালানি সংকট, পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ প্রায় ২০ দিন
প্রশাসনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF)-এর টিমকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে পরিস্থিতির অবনতি হলে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার কাজ শুরু করা যায়। বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে আপৎকালীন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে এবং মজুত রাখা হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার ও পানীয় জল।
ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসলীলা রুখতে প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড়গুলির (Heavy Storm) গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলের মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সমুদ্রপথে জাহাজ ও নৌকার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন থেকে বারবার জানানো হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের দাপট শুরু হলে সবাই যেন নিরাপদ স্থানে থাকে এবং কোনওভাবেই ঘরের বাইরে না বের হয়।