Longest Double Decker Flyover: এশিয়ার দীর্ঘতম ডাবল ডেকার ফ্লাইওভার, ভারতের আকাশ ছোঁয়া প্রযুক্তির বিস্ময়

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Longest Double Decker Flyover: ভারতীয় প্রযুক্তি ও অবকাঠামোর ক্ষেত্রে এবার এক নতুন ইতিহাস তৈরি হল এশিয়ার দীর্ঘতম ডাবল ডেকার ফ্লাইওভার নির্মাণের মাধ্যমে। নাগপুরের এই ফ্লাইওভারটি শুধুমাত্র দৈর্ঘ্যের জন্যই নয়, এর অভিনব নকশা ও স্থাপত্যশৈলীর জন্য ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি যখন ফ্লাইওভারটির (Longest Double Decker Flyover) উদ্বোধন করেন, তখন গোটা দেশ এক নতুন প্রযুক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করল। এই ফ্লাইওভারটি শুধু যাতায়াত ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছে তাই নয়, এটি ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নাগপুর শহর এখন আরও দ্রুত ও সুরক্ষিত পরিবহনের সুবিধা পেতে চলেছে।

Advertisements

৫.৬৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ডাবল ডেকার ফ্লাইওভারটি একটি মাত্র পিলারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা এক অভিনব কৌশল। এর উপরের স্তরে চলে মেট্রো এবং নীচে জাতীয় সড়ক, যা একাধিক পরিবহন ব্যবস্থা একত্রিত করে তৈরি হয়েছে। এই প্রযুক্তির কারণেই এটি এশিয়ার দীর্ঘতম (Longest Double Decker Flyover) ডাবল ডেকার ফ্লাইওভার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। ফ্লাইওভারটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ৫৭৩ কোটি টাকা এবং এটি নির্মাণ করেছে মহামেট্রো ও ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।

Advertisements

এই ফ্লাইওভারের অন্য আকর্ষণ হল এর ওপর পাঁচটি অত্যাধুনিক মেট্রো স্টেশন। গদ্দিগোদাম চক, কদবি চক, ইন্দোরা চক, নারী রোড, এবং অটোমোটিভ স্কোয়ার স্টেশনগুলি ভবিষ্যতের পরিবহন ব্যবস্থার এক নিদর্শন। এখানে শুধুমাত্র চার লেনের জাতীয় সড়ক নয়, পাশাপাশি মেট্রো এবং রেলপথও রয়েছে। ফ্লাইওভারটির নীচে একটি রাস্তা থাকায় নাগপুরের যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। নাগপুরের যানবাহনের চাপ কমিয়ে এটি দৈনন্দিন যাতায়াতকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তুলবে।

Advertisements

আরো পড়ুন: দীর্ঘ টানেল ও সাথে নির্মাণ করা হবে ১১ টি স্টেশন, কবে শুরু হবে এই পরিষেবা

এই ফ্লাইওভার (Longest Double Decker Flyover) দিয়ে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে যাবে। নাগপুর বিমানবন্দরে পৌঁছাতে এখন মাত্র ২০ মিনিট লাগবে, যা পূর্বে ছিল একাধিক ঘণ্টার বিষয়। এই অবকাঠামো শুধু নাগপুরকেই নয়, সমগ্র মধ্য ভারতের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করবে। দ্রুতগামী যান চলাচল এবং নিরাপত্তার দিক থেকেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্য হল, এই প্রকল্পটি ভারতীয় সরকার ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এটি শুধুমাত্র একটি ফ্লাইওভার নয়, বরং ভারতের প্রযুক্তিগত ক্ষমতার প্রতীক। দেশের পরিকাঠামো উন্নয়নে এমন আরও প্রকল্প ভবিষ্যতে তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisements