Ratan Tata’s Private Life : রতন টাটা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী তথা উদ্যোগপতি। তিনি তার কর্মজীবনের প্রতি পুরোপুরি নিবেদিত ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং বিশেষ করে প্রেম-বিয়ে নিয়ে বিস্তারিতভাবে কিছুই জানা যায় না। তিনি নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে কখনও কখনও তিনি একাকীত্ব বোধ করেছেন।রতন টাটার বাবা হলেন নাভাল টাটা যিনি ছিলেন একজন দত্তক সন্তান। নাভালের প্রথম স্ত্রী সোনির ঘরে জন্ম হয় রতন টাটার। দশ বছর বয়সে তিনি সাক্ষী ছিলেন বাবা মার বিচ্ছেদের।
রতন টাটা ছিলেন টাটা পরিবারের সন্তান। অল্প বয়সে তার রূপে পাগল হয়েছে এমন মেয়েদের সংখ্যা প্রচুর। তবুও তিনি সারা জীবন বিয়ে না করেই (Ratan Tata’s Private Life) কাটিয়ে দিয়েছেন। কাজকেই জীবনে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। দেশের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছেন কাজে। দেশ গড়ে তোলার কাজে তাঁর অবদান অনেক বেশি। রতন টাটার নেতৃত্বেই টাটা গোষ্ঠীর গ্লোবালাইজেশন হয়েছিল।
কেন রতন টাটা বিয়ে করেননি? ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব কমই মুখ খুলেছেন তিনি (Ratan Tata’s Private Life)। একটি শো-এ অভিনেত্রী সিমি গারেওয়ালের কাছে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রতন টাটা। প্রেম কিংবা বিয়ে কোন কিছুই তার জীবনে নেই। নিজের স্বাধীনতাকে তিনি উপভোগ করেছেন মনপ্রাণ ভরে। কর্মজীবনের প্রতি অধিক মনোযোগ দিয়েছেন সারাজীবন। কর্মজীবনের প্রতি এতটাই মনোযোগী ছিলেন যে ব্যক্তিগত জীবনের জন্য তার কাছে সময়ই ছিল না।
আরো পড়ুন: প্রয়াত হলেন ভারতের অন্যতম উদ্যোগপতি রতন টাটা, আশ্বাস দিয়েও চলে গেলেন না ফেরার দেশে
তিনি স্বাধীনতা উপভোগ করতে পছন্দ করতেন। বিয়ে করলে এই স্বাধীনতা কিছুটা কমে যেতে পারত। নিজের স্বাধীনতাকে উপভোগ করেছেন, কারণ তিনি কারোর উপর নির্ভরশীল ছিলেন না। মাঝে মাঝে একাকীত্ব বোধ করতেন এ কথা সত্যি। বিয়ে নিয়ে সিমির প্রশ্নের উত্তরে রতন টাটা বলেছিলেন, বিয়ের কাছাকাছি একাধিক আসা সত্ত্বেও বিয়ের পিঁড়িতে বসা হয়নি তাঁর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে এক মার্কিন তরুণীর প্রেমে পড়েন রতন টাটা। এই প্রেমও পরিনতি লাভ করেনি।
রতন টাটার বিয়ে ঠিক হয়েছিল চারবার কিন্তু সেটা আর পৌঁছয়নি পিঁড়ি পর্যন্ত (Ratan Tata’s Private Life)। তিনি একবার লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রেমে পড়েছিলেন। তখন ১৯৬২ সালে ইন্দো চিন যুদ্ধ চলছিল সেই কারণে মেয়েটির পরিবার তাঁকে ভারতে পাঠাতে চাননি। একটি সাক্ষাৎকারে শৈশব সম্পর্কে জানিয়েছিলেন টাটা। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ তাঁর জীবনের সবথেকে কঠিন সময় ছিল। ঠাকুমার কাছেই বড় হয়েছেন টাটা। উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি দেন এবং ঠাকুমার উদ্যোগে ভর্তি হন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থাপত্যবিদ্যায় ডিগ্রি লাভ করে চাকরি পান লস অ্যাঞ্জেলেসে। দেশে ফেরার আগে দু’বছর সেই চাকরি করেছিলেন টাটা। ভারতের বিকাশে টাটার অবদান ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।