University Ranking: বিশ্বের সেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় (University Ranking List) ভারতের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় ঝড় তুলেছে, কিন্তু বাংলাদেশের একটিও বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে স্থান করে নিতে পারেনি। টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং প্রকাশিত হওয়ার পর এই তথ্য সামনে এসেছে। ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছে, তখন বাংলাদেশের অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়েছে। পাকিস্তানের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, যা বাংলাদেশের তুলনায় বেশ এগিয়ে।
ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি এবং আইআইটি খড়গপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় (University Ranking List) উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে। পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা আইআইটি খড়গপুর সেরা ৫০০-এর মধ্যে স্থান পেয়েছে, যা ভারতের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সম্মানিত করেছে। এছাড়াও কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১০০০-এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, যা শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলার অগ্রগতির সাক্ষ্য বহন করে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের একটিও বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ৮০০-তে স্থান না পাওয়ায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ১০০০-তে স্থান করে নিয়েছে, তবুও সেরা ৮০০-তে অনুপস্থিতি শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরছে। অনেক শিক্ষাবিদ মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি না করলে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে যেতে পারবে না। তাই উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরো পড়ুন: কর্নাটকে দেশের প্রথম ‘গোল্ড এটিএম’: সোনার কয়েন এখন হাতের মুঠোয়
বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি), এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে বিশ্বব্যাপী শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী স্থান ধরে রেখেছে। পাকিস্তানের কায়েদ ই আজম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিও এই তালিকায় উল্লেখযোগ্যভাবে স্থান পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষা হতে পারে, কারণ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া ভবিষ্যতে দেশের জন্য বড় বাধা তৈরি করতে পারে।
বর্তমান সময়ে, গবেষণা এবং উদ্ভাবনে অগ্রগতি ছাড়া আন্তর্জাতিক মান অর্জন করা সম্ভব নয়, তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তাদের মান উন্নয়নে জোর দিতে। এভাবে তারা যদি নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে যায়, তবে ভবিষ্যতে তালিকার শীর্ষে উঠতে পারবে। এই র্যাংকিং (University Ranking List) স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে, বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশ্বমানের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। বর্তমান র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অনুপস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা সংকেত হিসেবে কাজ করছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে তুলে ধরছে।