Lawrence Bishnoi Life: পুলিশ কনস্টেবলের ছেলে হয়েও ভারতীয় গ্যাংস্টার হিসেবে পরিচিতি তার। যিনি সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলিউড স্টার সালমান খানকে। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন প্রখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi Life)-র কথাই বলা হচ্ছে। যার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, পাঞ্জাবসহ বিদেশের নানা জায়গায়। অপরাধের কারণে বর্তমানে আমেদাবাদের সবারমতি সেন্ট্রাল জেলে বন্দী হয়ে রয়েছেন তিনি। বয়স ৩১ বছর। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন পুলিশকর্মীর ছেলে হয়ে তিনি গ্যাংস্টার কিভাবে হয়ে উঠলেন? এই প্রতিবেদনে লরেন্স বিষ্ণোই-র জীবনের সেই গল্পই জানানো হয়েছে। যা শুনলে মনে হবে যেন এক সিনেমার গল্প।
প্রসঙ্গত, পূর্বের বেশ কয়েক বছর ধরেই বেশ কিছু বড় ধরনের অপরাধে নাম জড়িয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই। যার মধ্যে বিশেষ দুটি অপরাধ হলো মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকীর হত্যা এবং গায়ক সিধু মুসেওয়ালার খুন। কিন্তু লরেন বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi Life)-র বাবা হরিয়ানার পুলিশকর্মী শুনে অনেকেরই প্রশ্ন পুলিশের ছেলে গ্যাংস্টার? কি এমন ঘটেছিল তার জীবনে যার জন্য তিনি আজ জেলে।
সূত্রের খবর, লরেন্সের ছোটবেলা এবং বড়বেলার জীবনে গল্প আকাশ-পাতালের মতো। ছোটবেলায় লরেন্স যতটা অপরাধ জগত থেকে দূরে থাকতেন বড় হয়ে তিনি ততটাই অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েন। মূলত কলেজ জীবন থেকেই বদলে যায় লরেন্সের জীবন। কলেজে ভর্তি হয়ে রাজনীতিতে নাম লেখান লরেন্স। আর সেখানেই SOPU-র ছাত্র নির্বাচনে লড়াইয়ে পরাজিত হন লরেন্স। যা তিনি মেনে নিতে পারেননি। আর সেখান থেকেই ২০১১ সালে শুরু হয় কলেজের দুই পক্ষের লড়াই। উল্লেখ্য বিষয় কলেজে ভর্তি হওয়ার পূর্ব থেকে লরেন্স একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিল। কলেজ লাইফে প্রেম বেশ গভীর হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র নির্বাচনের লড়াইয়ে লরেন্সের বিরোধীরা জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল লরেন্সের প্রেমিকাকে। আর তখন থেকেই কুখ্যাত গ্যাংস্টার হয়ে ওঠে লরেন্স। শপথ নেয় প্রেমিকার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার। শেখেন নানান অস্ত্রের ব্যবহার। বিজ্ঞাপন দিয়ে সে তৈরি করে ফেলে নিজের একটি গ্যাং। যে গ্যাং-এর নাম কুখ্যাত ‘০০৭ গ্যাং’। সেই সময় থেকেই নানান অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে লরেন্সের জীবন। বেশ কয়েকজন ছাত্র নেতাকেও হত্যা করেন তিনি।
আরো পড়ুন: জামশেদজি টাটা, মানবতার মহানায়ক, যিনি দানে বিশ্বকে অতিক্রম করেছেন
এমনকি ২০১৮ সালের এক অপরাধে গ্রেফতার হয় লরেন্স। সেখান থেকে তাকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি সালমান খানকে খুন করার হুমকি দেন। যা ২০২২ সালে জানতে পারেন সালমান খানের বাবা সেলিম খান। প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণকে মাতৃরূপে পূজা করেন কুখ্যাত লরেন্স গ্যাং। ১৯৯৮ সালে এক ছবির শুটিং করতে গিয়ে রাজস্থানের একটি কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করেন সালমান খান। যখন লরেন্সের বয়স পাঁচ বছর। আর তখন থেকেই সালমান খানকে মেরে ফেলার কথা বলেন লরেন্স। যা শুনে বহুবার সালমান খানকে নিরাপত্তা দিয়েছে মুম্বাই পুলিশবাহিনী।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই-র জন্ম পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে। একটি সম্পর্ণ পরিবারের সন্তান তিনি। বাবা হরিয়ানা পুলিশে কর্মরত। রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। ছোটবেলায় তার পড়াশোনা আবোহার জেলার একটি কনভেন্ট স্কুলে। স্কুল লাইফেই একটা মেয়ের প্রেমে পড়েন লরেন্স (Lawrence Bishnoi Life)। সেখান থেকেই প্রেম গভীর হয় কলেজে। তারা দুজনেই ভর্তি হন ডিএভি কলেজে। আর সেই কলেজ জীবনে এসেই প্রেমিকার হত্যায় অন্ধকারে তলিয়ে যায় লরেন্স। গ্যাংস্টার হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করে।